ব্রেকিং নিউজ

বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবেই : গনেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাকপুরঃ- প্রায় দুমাস সংশোধনাগারে থাকার পর বুধবার মুক্তি পেলেন  বালি-মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখ নৈহাটী পুরসভার সিআইসি গণেশ দাস। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নৈহাটির বাড়িতে এসেই তিনি অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম জারি রাখার কথা বলেন। এদিন তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই আমি অবৈধ বালি ও মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আন্দোলন নেমেছিলাম। অথচ দলের স্থানীয় নেতৃত্ব পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে আমায় জেলে পাঠিয়েছিল।' গণেশবাবুর আরও অভিযোগ, "বাম জমানায় ২০০৯ সাল থেকে অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলাম। তবে দল ক্ষমতায় আসার পর সিপিএমের কিছু লোকজন দলে ঢুকে ফের গঙ্গাবক্ষ থেকে বালি তোলা চালিয়ে যাচ্ছিল। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি।    এতে সাময়িক কষ্ট হয়েছে। তবে মনোবল অনেক বেড়েছে। তবে সত্য কোনোদিন চাপা থাকে না। নৈহাটিতে অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি থাকবে।"  তিনি আরও বলেন, নেত্রীর ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস এবং আস্থা আছে। তাছাড়া শিল্পাঞ্চলের মানুষজন আমার নেতা অর্জুন সিংকে চোখ বন্ধ করে  ভরসা করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে এসডিএলআরও-র নির্দেশে বিএলআরও পাঁচজনের তদন্তকারী দল নৈহাটির পুরানো হুগলী ব্রিজ সংলগ্ন লালবাবা ঘাটে এসেছিলেন। সেদিন বারাকপুর পুলিশ কমিশনার অফিস থেকে ফিরে গনেশ দাস দুই সঙ্গীকে নিয়ে সোজা লালবাবা ঘাটে যান বালি মাফিয়াদের দৌরাত্মের প্রতিবাদ জানাতে  । অভিযোগ, সেদিন বালি-মাটি মাফিয়া মনোজ দাসের নেতৃত্বে ওর দলবল গনেশবাবুকে  আক্রমণ করে এবং তাকে আটকে রাখে। উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই সঙ্গীসহ গনেশ দাসকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে । এই ঘটনার পর পরে অবশ্য বালি মাফিয়া মনোজ দাসের মা গণেশবাবুর  বিরুদ্ধে  আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিথ্যা হামলার পাল্টা  অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল গণেশ দাসকে।

No comments