ব্রেকিং নিউজ

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

সাতদিনের সমাচার : গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার শ্বশুরবাড়ি পক্ষের  দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ, কিন্তু বাকিরা পলাতক ৷ প্রসঙ্গত, শুক্রবার ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তজনা ছড়ায়  নৈহাটি গরুরফাড়ি এলাকায়৷ নৈহাটী থানার পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে  দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয় পরিবারের সদস্য এবং পড়শীরা৷ প্রায় আধঘন্টা চলা অবরোধের জেরে ঘোষপাড়া রোডে স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে তাদের আশ্স্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা৷ এদিন রাতেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়র করা হয়৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, এদিন সকালে নৈহাটি পুরসভার ১নং ওয়ার্ড হরিনগর কলোনি থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷মৃতার নাম কেয়া দাস(১৯)৷ পরিবারের অভিযোগ,ওকে খুন করে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ জানা গেছে ,মালঞ্চ রোড বালিভাড়ার বাসিন্দা বান্টি দাসের সঙ্গে গত এগারো মাস আগে প্রেমঘটিত  বিবাহ হয়েছিল কেয়ার৷ মৃতার  বাবা বিশ্বজিত দে একটি সাইকেল দোকানের  কর্মচারী৷মা কাকলি দে গৃহবধূ এবং মৃতের ভাই সনত দে বলেন,দিদি প্রথম থেকেই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতিতা, পণ এর দাবিতে লাগাতার অত্যাচার চলতই,  বুধবার দিদি বাড়ি এসেছিল৷ ওইদিন রাতেই মা দিদিকে শ্বশুরবাড়ি দিয়ে আসে৷ কারণ সেদিন দিদিকে আমার বন্ধুর  স্কুটি চালাতে দেখে ওর মেজো জা বুলুদি ভীষণ বকাঝকা করে ৷আর সেই রাতেই কারণেই ওইদিন রাতে দিদির উপর অমানুষিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল ৷মৃতার মায়ের অভিযোগ, মেয়ে যেহেতু চাপা স্বভাবের, তার উপর প্রেম করে বিয়ে করেছে, তাই শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কথা মুখ ফুটে জানাতো না, এটাই কাল হল৷ ওর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে আমরা খবর পাই৷ কিন্তু আশ্চর্য ওর শ্বশুরবাড়ি লোকজন নিজেরা  ঘটনাটি আমাদের জানায় নি৷' ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব পড়শীরা৷ এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুর মাধব দাস এবং বড়'জা শ্যামলি দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

No comments