ব্রেকিং নিউজ

মন্ডলবাজারে কাটমানি পোষ্টার : মেজাজ হারাচ্ছেন সম্মানীয় জনপ্রতিনিধি

সাতদিনের সমাচার :  বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ বোধহয় একেই বলে ! নইলে কিনা সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া প্রতিনিধিকে কিনা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে চলে যেতে আদেশ দেন মানুষের ভোটে জেতা মহামান্য জনপ্রতিনিধিরা ! 
 দলনেত্রী যখন যেনতেন প্রকারে নেতাকর্মীদের শুদ্ধিকরণের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ঠিক তখনই দলের পুরোনো নেতাদের কয়েকজন দলের দুর্দিনের বাজারেও নিজেদের ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করে যাচ্ছেন l ঘটনার সূত্রপাত সেই কাটমানিকে কেন্দ্র করেই l কাটমানি সংক্রান্ত একটি পোষ্টারকে ঘিরে সোমবার সকালে কাঁচরাপাড়া মন্ডলবাজারে উত্তেজনা তৈরী হয়, কারণ মাছবাজার সংলগ্ন গলি তথা পাশের গলিতে এদিন সকালে পোষ্টারটি দেখতে পায় বাজার সারতে আসা এলাকার বাসিন্দারা৷ খবরটি চাউর হতেই মুখে মুখে ক্যাম্পেনিং শুরু হয়ে যায় ৷ স্থানীয় কাঁচরাপাড়া  পৌরসভার এক ঠিকাদার অসীম চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে  এই পোষ্টারটিতে বড় বড় করে লেখা - কাঁচরাপাড়া সমস্ত ফ্ল্যাট প্রতি দশ লক্ষ টাকা কাটমানি, পৌরসভার কাজের ১০% ও পৌর চাকুরির কাটমানি কোথায় রাখলে অসীম চক্রবর্তী? অন্য আর একটি পোষ্টারে লেখা,'কাঁচরাপাড়া পৌরসভার অঘোষিত পৌরপ্রধান অসীম চক্রবর্তী দুর হটো ৷' 
পরবর্তীতে কাটমানি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সুদামা রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তার ঘরে অপেক্ষারত  ১০নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল  কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন শিক্ষক সুভাষ চক্রবর্তী  সংবাদ প্রতিনিধির সাথে চরম  দুর্ব্যবহার করেন৷ পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও তিনি চেয়ারম্যানের ঘর থেকে সংবাদকর্মীকে বেরিয়ে যেতে বলেন৷ সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান মাখন সিন্হা, অপর এক কাউন্সিলর  অশোক কুমার মন্ডল, মহিলা তৃণমূল কর্মী শম্পা শিল,অভিযুক্ত অসীম চক্রবর্তী সহ আরও অনেকেই l
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন প্রাক্তন শিক্ষক তথা একজন জনপ্রতিনিধির কাছে এমন দুর্ব্যবহার কী গ্রহণযোগ্য? 
আসলে সুভাষবাবুর এই আচরণই বুঝিয়ে দিচ্ছে এলাকায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি কতটা জনপ্রিয়!  তবে সংবাদ সংগ্রহে আসা  সংবাদকর্মীকে ঘর থেকে বের করে দিলেই কাটমানির খবর যেমন চাপা থাকবে না, তেমনই যাবতীয় দুর্নীতির হিসেব চাওয়া আমজনতাও কিন্তু ঠারেঠোরে বুঝে নেবেন সবটা, তখন পালাবার পথ পাবেন তো ?

No comments