বাংলার রাজনীতি সঙ্কটের মুখে
সাতদিনের সমাচার : হঠাৎ করেই বাংলার রাজনীতি এক বিপরীতমুখী স্রোতে ভেসে খেই হারিয়ে ফেলছে। বাংলার রাজনীতি এখন তাই সঙ্কটের মুখে বলা যেতে পারে । বিশেষজ্ঞ বা বুদ্ধিজীবীরা যা দেখে-শুনে শঙ্কা প্রকাশ করছেন প্রতিনিয়ত।
একে তো রাজ্যব্যাপী সন্ত্রাসের অন্ধকার দিন, অন্যদিকে খোদ জনপ্রতিনিধিদের নির্বিকার, নির্লজ্জ্ব বেপরোয়া মন্তব্য, হাবভাব আর কার্যকলাপ সর্বস্তরের মানুষকে শঙ্কিত করছে। স্বার্থান্বেষীরা তোষামুদে হয়ে অর্থ আর ক্ষমতার দখলদারিতে মেতে উঠেছে। গদি বাঁচাতে বা দখল করতে রাজনৈতিক নেতারা বাংলার কৃষ্টি-সভ্যতা-সংস্কৃতি ভুলে দল ভারী করতে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দড়ি টানাটানির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। রাতারাতি দলবদলের হিড়িক দেখে মানুষ বিভ্রান্ত কে, কখন, কার সাথে ও কেন? নীতি-আদর্শ বলে এ বাংলার তথাকথিত দলগুলি ও তাঁদের রাজনীতিক নেতৃত্ব তোয়াক্কাই করছেন না। স্বার্থান্বেষী অনুগামীরা তথৈবচ।
বাংলার রাজনীতিতে সম্প্রতি ভয়াবহ আকারে আছড়ে পড়েছে বেপরোয়া অকথ্য ও সন্ত্রাস জাগানো ভাষার আমদানি। বিরোধী বা প্রতিবাদকারীকে কোণঠাসা করতে অভাবনীয় অকথ্য ভাষার প্রয়োগ বা যে কোন নিকৃষ্টতম অপকর্মের আশ্রয় নিতে ছাড়ছেন না শাসক ও বিরোধী দলগুলির নেতানেত্রীরা।
একসময় যে বাংলার সংস্কৃতি বিশ্বনন্দিত, আজ তা কলঙ্কিত, ভূলুণ্ঠিত।
শাসক হতে চাওয়ারা যদি এখনই এসব নিয়ে না ভাবেন, তবে আমাদের সোনার বাংলা দেশের কাছে, বিশ্বের কাছে তার নীতি-আদর্শের আসন হারাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবী বা শিক্ষিতরা। যদিও তাঁদের একাংশকেও আজ অন্ধ হয়ে এই গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাতে দেখা যাচ্ছে। এ এক বিপজ্জনক বাঁকে এসে বাংলার রাজনীতিকে দাঁড় করিয়েছেন বাংলার রাজনীতিকরা। সংশোধনের পথে চলতেই নারাজ তাঁরা। আমজনতা কিন্তু পারে এঁদের সঠিক পথে চলতে বাধ্য করতে।
No comments