ব্রেকিং নিউজ

ভারতীয় শিবিরে ডাক পেল বীজপুরের ২ কৃতী অ্যাথলেট অপর্ণা-নন্দিতা

সাতদিনের সমাচার : ভারতীয় শিবিরে প্রশিক্ষণের ডাক পেয়ে আজই রওনা হল বীজপুরের ২ কৃতী জুনিয়র  অ্যাথলেট অপর্ণা ঘোষ ও নন্দিতা ঘোষ। ধরমপুর-কলতলার অপর্ণাকে কলিং স্টেডিয়ামে পৌঁছে দিতে গেছেন তার মা প্রাক্তন জাতীয় অ্যাথলেট  জিওলজিক্যাল সার্ভেতে কর্মরতা সরমা ঘোষ এবং হালিশহর তেঁতুলতলার পিতৃ-মাতৃহীন নন্দিতাকে নিয়ে গেছেন তার শ্রমজীবী মামা। গত বছর কাঁচড়াপাড়ার অ্যাথলেটিক ট্রেনিং সেন্টারের নন্দিতা ৮০০ মিটার দৌড়ে ইস্ট-জোন ও ন্যাশনালে ভাল ফল করেছিল এবং জোনপুর অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের অপর্ণাও খেলো ইন্ডিয়া ও ন্যাশনালে ভাল ফল করেছিল। 
রাজ্য ক্রীড়াকর্তা আশিস সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে অনুর্ধ্ব ১৬ বিভাগে পদক প্রাপ্তি ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) দেশের ৩টি জোনের প্রায় ২০০ উঠতি জুনিয়রদের ৬০ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে লখনৌ, ভুবনেশ্বর ও ভোপালে। দেশের নামী প্রশিক্ষকদের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের উঠতি তরুণ এথলেটরা যাতে আরো উন্নতি করতে পারে, সেটাই লক্ষ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। 
প্রসঙ্গত বাংলার সল্টলেকের মত দেশজুড়ে সাই-এর কয়েকটি প্রশিক্ষণ শিবির চলে যেখানে ১২ মাস ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া বিভাগের অধীনে। কেন্দ্রের মত রাজ্যগুলোতে ক্রীড়ামন্ত্রক থাকলেও এ ধরনের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। বাংলায় খেলাধুলা তাই তলানিতে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে, নামমাত্র স্পন্সর জোগাড় করে ক্রীড়ামোদী কিছু মানুষ ও প্রশিক্ষকরা এখনো টিঁকিয়ে রেখেছেন বাংলার স্পোর্টিং ইভেন্টগুলিকে। বাংলায় এ ধরনের সংগঠনের সংখ্যা ক্রমশ কমছে অর্থাভাবে। অভিযোগ, শাসকদলের কৃপাধন্যরা ছাড়া সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত তথাকথিত উদ্যোক্তারা। অথচ বাংলায় ট্যালেন্টের অভাব নেই। 
কাঁচড়াপাড়ার জোনপুর মাঠে JACC'র ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষক গোপাল দেবনাথের অধীনে, ব্রতচারী পার্কের মাঠে কাঁচড়াপাড়া ATC'র নিমাই ঘোষ বা সুনীল মন্ডলের অধীনে অথবা কাঁচড়াপাড়া KSS'র দেবু চ্যাটার্জীর অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত কয়েক বছরে বহু পদক পেয়েছে বা জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে রেকর্ড পর্যন্ত করেছে। জাতীয় পদক প্রাপ্তের সংখ্যাও কম নয়। উপরোক্ত প্রশিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীরা সাফল্য পাওয়ায় শুধু উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয়, নদীয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি, বর্ধমান এমনকি বাঁকুড়া থেকেও বেশ কিছু এথলেট কাঁচরাপাড়ায় প্রশিক্ষণ নিতে আসে আজও। বলা যায় স্বনামধন্য এথলেট প্রশিক্ষক সত্য রঞ্জন রায়ের প্রয়াণের পর এলাকার খেলাধুলায় সুনাম ধরে রেখেছেন উপরোক্তরা তো বটেই তাছাড়া বসন্ত বড়ুয়া, রঞ্জিত ঘোষ প্রমুখও। স্থানীয় ক্রীড়া কর্মকর্তাদের  দীর্ঘদিনের অভিযোগ, আর্থিক অভাব ও সঠিক অনুশীলনের জায়গার অভাবে ধুঁকছে এই অঞ্চলের খেলাধুলা এবং অতীতের ঐতিহ্য।

No comments