ব্রেকিং নিউজ

জেটলির প্রয়াণে দিল্লী ফিরছেন শোকাপ্লুত মোদি-শাহ, শোকবার্তা রাষ্ট্রপতি থেকে মমতার

সাতদিনের সমাচার: দীর্ঘ রোগভোগের পর অবশেষে প্রয়াত হলেন মিষ্টভাষী, সুবক্তা, কৌশলী অরুণ জেটলি। মধুমেহ রোগাক্রান্ত জেটলিকে হৃদরোগ ও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য একাধিকবার অস্ত্রোপচার করতে হয়। সম্প্রতি তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। আজ দুপুর ১২:০৭ মিনিটে তিনি প্রয়াত হয়েছেন বলে এইমসের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি হয়।
এই আকস্মিক দুহ্সংবাদে শোকার্ত দেশের রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশ সফর স্থগিত করে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হায়দরাবাদে দলীয় কর্মসূচি স্থগিত রেখে দিল্লী ফিরছেন বলে খবরে প্রকাশ। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেন, দেশ গঠনে উনি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায বলেন, উনি একজন সূদক্ষ সাংসদ আইনজীবী ছিলেন। কংগ্রেস সহ বিরোধী দল ও বিজেপির সহযোগী দলগুলির তরফেও শোকবার্তা জানানো হয়।
পাঞ্জাবি ব্রাহ্মণ পরিবারে জেটলির জন্ম। বাবা কিষেণ জেটলি ছিলেন পেশায় আইনজীবী। নতুন দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনার পর বাণিজ্যে স্নাতক হন। এরপর হন আইনের ছাত্র। সফল আইনজীবী হিসাবে দেশের বিভিন্ন শীর্ষ আদালত সহ সুপ্রীম কোর্টের সুনাম অর্জন  করেন। '৮২ সালে তিনি সঙ্গীতা ডোগরার সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। তাঁদের পুত্র রোহণ ও সোনালি।
অরুণ জেটলি দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি'র সভাপতি এবং পরে ওই সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন। '৭৫ সালে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে প্রথমে আম্বালা এবং পরে তিহার জেলে বন্দি ছিলেন। '৯১ সাল থেকে তিনি ছিলেন বিজেপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য। '০২-'০৪ তিনি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
অটল বিহারী বাজপেয়ী ও নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় তিনি অর্থ-প্রতিরক্ষা-কর্পোরেট এফেযার, কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি , আইন ও বিচার বিভাগীয় দপ্তরের মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলেছেন। প্রসঙ্গত জিএসটি ও নোটবন্দী অরুণ জেটলির অর্থ দপ্তরেরই সিদ্ধান্ত।
রাজনৈতিক পদাধিকারী হয়েও তিনি একসময় বিসিসিআই'র সহ সভাপতিও হয়েছিলেন। কিন্তু আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিং কেলেংকারির পর তিনি পদ ছেড়ে দেন। 
সুষমা স্বরাজের পর দেশে আরেক বর্ণময় ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ ঘটল।

No comments