ব্রেকিং নিউজ

অভাব-অভিযোগ : এবার ঘরের ছেলেও হাজির ময়দানে

সোনালী ব্যানার্জী  : দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত 'ঘরের ছেলে' হিসেবে নিজেকে জনগণের সামনে মেলে ধরতে সাংসদ অর্জুন সিং এর দেখানো পথেই আমজনতার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন বীজপুরের বিজেপি বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় ৷ শনিবার সকালে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় এলাকার মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনতে এবং জনসংযোগ বাড়াতে বাড়ি-বাড়ি ঘুরলেন বিধায়ক ৷ এদিন গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ বিধায়কের নিজস্ব ফোন নম্বর এবং ইমেল আইডি দেওয়া কার্ডটি সাধারণ মানুষের হাত তুলে দিয়ে তাদের অভাব- অভিযোগের কথা সরাসরি ফোন করে জানাতে বলেন ৷ তাঁর কথায়,'এলাকার মানুষের অভিযোগ শুনতে এবং সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় বেরিয়েছিলাম, তাছাড়া এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কেও পরামর্শ দিতে বলেছি l'
 সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভ্রাংশু রায় আরও বলেন, 'আপনারা বলতেই পারেন এটা দিদিকে দেখে শেখা,' তবে তার দাবি, 'দিদি কে বলো' তে  যে নম্বর দেওয়া আছে সেই ফোনটা দিদি নিজে ধরেন না, তবে এখানে যে ফোন নম্বরটি দেওয়া আছে সেটা আমি নিজেই ধরি, অভিযোগ সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞাত না হলে তার সুরাহা হবে কী করে ? তাই আমি নিজেই ফোনটা ধরছি এবং এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি৷' অথচ এ নিয়ে নিন্দুকেরা বলছেন, একটা সময় ছিল যখন হত্ত্যে দিয়ে পড়ে  থেকেও শুভ্রাংশুর দেখা মেলেনি, 'আজ দেখা হবে না, অন্য দিন আসুন'-- এমন কথা শুনতে শুনতে সাধারণ মানুষ যারপরনাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন, অবশ্য তারপর ভাগীরথী দিয়ে বয়ে গেছে গ্যালন গ্যালন জল, সময় বদলছে, বদলেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও, বাজারটাও ভীষণভাবে প্রতিযোগিতার সুতরাং তড়িঘড়ি 'ঘরের ছেলে' হয়ে জনসংযোগ বাড়াতে তাই উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি l
.  এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর 'দিদিকে বলো'র মতোই বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এর হাত বাড়ালেই বন্ধু কিন্তু প্রথম দফাতেই সুপার হিট! এমনই দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা, সম্প্রতি সাংসদের নিজস্ব ওয়েবসাইট আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয়েছে  www.arjunsinghmp.com, পাশাপাশি 'আমাদের অর্জুন' নাম দিয়ে একটি মোবাইল এপ্লিকেশনও ভালো বাজার তৈরী করবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সুতরাং আজকের প্রজন্মের যুবক হয়ে শুভ্রাংশুই বা কী ভাবে পিছিয়ে থাকেন ! 
তবে বিধায়কের এই প্রয়াস প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি তথা কাউন্সিলার সুজিত (বাপি) দাস বলেন, ওদের দল আলাদা, ওদের কর্মসুচি কী হবে সেটাও তাদেরই বিষয়, তাই এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই৷ তবে এটা 'দিদি কে বলো'র কাউন্টার হিসেবে আমরা মনে করছি না, কারণ 'দিদি কে বলো' সারা বাংলায় সাড়া ফেলে দিয়েছে৷'দিদি কে বলো' মাধ্যমে অনেক মানুষের কাজও হয়ে যাচ্ছে l' 
তবে যাই হোক এখন সব কিছু পাশে রেখে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হেঁটেই বাজিমাত করতে চান সাংসদ এবং বিধায়ক দু'জনেই, তবেই না সার্থক হবে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের কর্মসূচী 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ' !!

No comments