ব্রেকিং নিউজ

সিঁদুরে মেঘ : ধর্মঘটের ডাক ইচ্ছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে

সাতদিনের সমাচার : ইছাপুরের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি এবার যেতে চলেছে বেসরকারী সংস্থার হাতে ! আতঙ্কিত কর্মচারীরা এতদিন ঝান্ডা হাতে ফ্যাক্টরি চত্বরে মিছিল করে শ্লোগান তুললেও,এবার তারা ঐকবদ্ধভাবে পথে নামলেন ৷ তেরঙ্গা,লালঝান্ডার পাশাপাশি শ্রমিক কর্মচারীদের হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রদর্শিত  হয়েছে কালো পতাকা৷ ইছাপুরের দুটি ফ্যাক্টারি সহ দমদম ও কাশীপুরের ফ্যাক্টারিতেই দেখা গিয়েছে একই দৃশ্য৷ এ ব্যাপারে আইএনটিইউসির রাজ্য সভাপতি কামরুজ্জামান কামার এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, সারা দেশের ৪১টি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টারিতে আজ যৌথভাবে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে, চলবে আরও কয়েকদিন, এরপরেও সরকার যদি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টারিগুলিকে কর্পোরেটাইজেশন করার ইচ্ছে ত্যাগ না করে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে খোলা বাজারে বেচে দিয়ে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ছিনিমিনি খেলে,  তবে শ্রমিক কর্মচারীরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে৷ ইছাপুরে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টারিকে বেসরকারীকরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে ফ্যাক্টারির গেটে জমায়ত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিক কর্মচারীরা৷ কর্মীরা জানান,এই কর্মবিরতি ও আন্দোলন আগামী একমাস ধরে চলবে৷ এই কর্মবিরতিকে উপেক্ষা করে কাজ যোগ দিতে যাওয়া শ্রমিকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী ৷ পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা৷ ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টারি মজদুর ইউনিয়ন ও ন্যাশনাল মজদুর ইউনিয়নের নেতা ধীমান চ্যাটার্জী ও দেবজ্যাতি বোস একই সুরে বলেন, যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিরক্ষা শিল্পকে বেসরকারীকরণের মাধ্যমে শুধু তাঁদের চাকুরির নিরাপত্তাই বিঘ্নিত করছে তা নয়, এই শিল্প বেসরকারী হাতে গেলে দেশের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকবে না৷ দেবজ্যাতি বোস বলেন,ভারত-চিন যুদ্ধে,৭১সালে বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধ এমনকী কার্গিল যুদ্ধে এই অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টারিতে তৈরি হওয়া অস্ত্র ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান অস্ত্র৷ জানা গিয়েছে, আজ ফ্যাক্টারিতে শ্রমিকদের হাজিরা সংখ্যা ছিল মাত্র তিন শতাংশ৷ আইএনটিইউসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী কয়েকদিনে পথে নামতে চলছে ফ্যাক্টরির শ্রমিক-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা ৷এদিন আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সাথে দেখা করেন, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র৷ বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,'কেন্দ্রীয় সরকার পুরো দেশটাকে লোপাট করবে, ইতিমধ্য পাবলিক সেক্টারগুলির মৃত্যু ঘন্টা বাজিয়েছে, আসলে ওর একমাত্র লক্ষ্য আম্বানী,আদানিদের রক্ষা করা৷' তিনি অভিযোগের সুরে বলেন,'বিএসএনএল তুলে দাও, জিওর রাজত্ব শুরু কর৷ এটা আম্বানীদের সরকার সেই সরকারের চৌকিদারি পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী৷'

No comments