রাজনৈতিক ডামাডোলের সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা : বোমাবাজি ফেরাচ্ছে পুরোনো আতঙ্ক
সাতদিনের সমাচার : তৃণমূল এবং বিজেপি'র দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে কাঁচরাপাড়াতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দুষ্কৃতীরাজ, ক্রমশ দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে পড়ছে কাঁচরাপাড়ার বিভিন্ন অলিগলি, কারণে অকারণে যথেচ্ছ বোমাবাজি পুরোনো আতঙ্ক ফিরিয়ে দিচ্ছে কাঁচরাপাড়াবাসীদের মনে, বিক্রিবাট্টা সেরে বাড়ি ফেরার পথে জনৈক ব্যবসায়ী কৃশানু মণ্ডলের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই, এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাগাতার বোম পড়ল মান্ধারিবাজরের নলিনী বসু রোডে। জানা গেছে, ছিনতাইকারীরা স্থানীয়।ছিনতাইকারীদের হাতে আহত জনৈক কৌশিক, তাঁর সঙ্গী স্ত্রী ও বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রূপেশের কাছে। রূপেশই আহত কৌশিকদের থানায় নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর কাছে ফোন যায় যে তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি হচ্ছে। বাইকের আওয়াজ আর বোমাবাজির শব্দে গতকাল রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কাঁচরাপাড়ার মান্ধারিবাজার-নলিনী বসু রোডের বাসিন্দারা। অভিযোগ, বছরখানেক ধরেই বান্টি-আকাশ-বিকি-রাহুল-আনন্দরা মান্ধারিবাজার থেকে পুরসভার পার্ক পর্যন্ত এলাকায় ইভ-টিজিং, ছিনতাই, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, গাড়ি জোর করে বেচা, চুরি-ডাকাতি, নেশার দ্রব্য বিক্রি প্রভৃতি অসামাজিক ও সমাজবিরোধী কাজ করছে। প্রতিবাদ করলেই জুটেছে অপমান, মারধোর, সশস্ত্র আক্রমণ! এতদিন ভয়ে কেউ কিছু না বললেও, গতকাল রাত থেকে এলাকার মানুষ আর চুপ থাকতে রাজি নন। তাঁদের কথায় , 'রাজনীতির ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে কাঁচরাপাড়ার কয়েকটি অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল ও বিজেপির নেতাদের সঙ্গে দহরম-মহরমের সুবাদে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত।' আজ এলাকার মানুষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ভরদুপুরে বীজপুর থানায় জমা দিতে গেলেন এলাকার কয়েকজন পুরুষ-মহিলা। তাঁরাই জানালেন, রাতে দুটি বাইকে করে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা ৪টি বোমা ছোঁড়ে সিপিএম কর্মী মিঠু এবং তৃণমূল নেতা রূপেশদের বাড়ির সামনে। উদ্দেশ্য ছিল চমকে রাখা, যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছিলেন এলাকার ডাকাবুকো তৃণমূল কর্মী রূপেশ। একটি বোমা ফাটেনি, যেটি আজ সকালে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি বাইক বাজেয়াপ্ত করে বলেও জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। প্রসঙ্গত, অভিযুক্তরা ইতিপূর্বে বিভিন্ন অপরাধে একাধিকবার জেল খেটেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
No comments