'আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে বিরোধীরা': অভিযোগ পত্রে বিস্ফোরক দাবি প্রমিতার
সাতদিনের অন্তর্তদন্ত :
(কিস্তি ১)
জেঠিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় মধুচক্র নিয়ে সমাচার সাতদিনের ওয়েব পোর্টালে সম্প্রতি এক 'অভিযোগ সংক্রান্ত' সংবাদ প্রকাশিত হবার পর থেকেই শুরু হয়েছে লাগাতার ধুন্ধুমার, খবরের পক্ষে যেমন বহু সাধারণ পাঠক তাদের মূল্যবান পরামর্শ, অভিমত এবং সদিচ্ছা জানিয়েছিলেন তেমনি খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দূরাভাষ মাধ্যমে একপ্রকার প্রচ্ছন্ন হুমকিও আসতে শুরু করে (সময়মতো মোবাইল নম্বরগুলো প্রকাশ করা হবে) শুধু তাই নয়, যার বিরুদ্ধে মধুচক্র চালাবার অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা সেই প্রমিতা বিশ্বাস স্বয়ং ফোনে 'খবরের সূত্র' এবং তাদের 'নাম' জানতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন, এমনকি প্রকাশিত খবরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দেন পরে তার আইনি পরামর্শদাতাকে দিয়ে ফোন পর্যন্ত করান ! তবে পরিস্থিতি বুঝে অবশেষে একটি 'অভিযোগপত্র' সমাচার সাতদিন দপ্তরে জমা দিয়েছেন তিনি l অভিযোগ পত্রের প্রতিলিপি এখানে তুলে ধরা হল :
প্রমিতাদেবী আরও জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যেদিন প্রমিতাদেবীর বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যায়, সেদিন তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না ! অতএব তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র এবং অভিসন্ধিমূলক l তিনি প্রার্থনা করেছেন যাতে সমাচার সাতদিনের 'ওয়েব পোর্টাল' থেকে প্রকাশিত (তাঁর কথায়) 'ফেক নিউজ'টি 'রিমুভ' করে দিতে, কেননা প্রমিতাদেবী বলেছেন, তিনি একজন সম্ভ্রান্ত গৃহবধূ, এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সম্মান আছে, কিন্তু বিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে তাঁর সম্মানহানি করতে উঠে পড়ে লেগেছেন এবং মিথ্যা এবং ভুল তথ্য দিয়ে এলাকার লোকজনকে নিয়ে বিশ্বাস বাড়িতে লকডাউন অমান্য করে জড়ো হওয়া 'আমন্ত্রিত' বহিরাগতদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে ! পুলিশ কিনা সেইসব আটক করা 'আমন্ত্রিত' বহিরাগতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে মিথ্যাভাবে ইউ /এস ১৮৮ আইপিসি এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০২০ এর অন্তর্গত সেকশন - ৫৭ লকডাউনে মান্য না করার বিরুদ্ধে কেস ফাইল করেছে, যা কোনোভাবেই মধুচক্রের মধ্যে পড়ে না, অতএব এখন মহাশয়ার দাবি, নতুন করে আসল সংবাদ পরিবেশ করা হোক !
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত সরকার প্রদত্ত 'রেজিস্ট্রেশন' এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রাপ্ত 'এক্রিডেশন' নিয়ে 'সমাচার সাতদিন' দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব ধারায় নির্ভিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে এসেছে, কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে সেই ২০০৭ সাল থেকেই বড়ো বড়ো ঘুঘুর বাসায় ভাঙ্গন ধরিয়েছে, ভেকধারীদের মুখোশ খুলেছে এমনকি পাচার হওয়া নারী উদ্ধার করতে জান লড়িয়ে দিয়েছে দিনের পর দিন - যার সাক্ষী হালিশহর তথা শিল্পাঞ্চলের পাঠক সমাজ l
এবার সংবাদের সত্যতা নিয়ে যারা সন্দিহান তাদের মধ্যে স্থানীয় এক যুবক সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেছেন ২০২১ সাল পড়লে তিনি 'সমাচার সাতদিন'কে নাকি দেখে বুঝে নেবেন - ইত্যাদি ইত্যাদি !
তা হুমকির ভয় দেখিয়ে আগেও আমাদের রোখা যায় নি, এখনও যাবে না ! এটা কিন্তু কান পরিষ্কার করে শুনে রাখুন ! সোশ্যাল মিডিয়াতে হুমকি দেয়া ওই যুবক সম্পর্কে ইতিমধ্যে অন্তর্তদন্ত শুরু হয়েছে, নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থাও, কেননা ওই যুবকে নিয়ে যা তথ্য আমাদের হাতে এসেছে তা পাঠকের মাথা ঘুরিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট ! আগামীতে তার এবং মধুচক্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদের অন্তর্তদন্ত অব্যাহত থাকবে, তথ্য সংগ্রহ চলছে বরানগর, দমদম, নৈহাটী জুড়ে l বিয়ে এবং প্রেমের নামে ফাঁদ পেতে কিভাবে লাভজনক ব্যবসায় যুবতীদের নামানো হয়, কতজন এই ফাঁদের শিকার হয়েছেন ! কারা কারা জড়িত ! মাথাই বা কে ! তা বিশদে প্রকাশিত হবে ধারাবাহিক কিস্তিতে, অতএব আগামীর জন্য তৈরী থাকুন l আজকের কিস্তি আপাতত এই পর্যন্তই l
No comments