কথা রাখেননি কেউই ! বাধ্য হয়েই বিক্ষোভে জেঠিয়া পঞ্চায়েতের খাসবাটি গ্রামের বাসিন্দারা
সাতদিনের সমাচার : উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাসবাটি গ্রামের দোলতলা এলাকায় গতকাল রাতে নির্মীয়মান জল প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত ক্রেন আটকে রেখে তীব্র বিক্ষোভে শামিল হল এলাকার বাসিন্দারা l তাদের অভিযোগ, বহু প্রতীক্ষার পর গ্রামে তৈরী নতুন পাকা রাস্তায় যেখানে ১০ টনের বেশি ওজনের যানবাহন রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ, সেখানে রাতের অন্ধকারে ওই পথ দিয়ে জলপ্রকল্পের কাজের জন্য প্রতিনিয়ত 'ক্রেন' আনা হচ্ছে যার ফলে ভাঙ্গন ধরছে রাস্তায় । বেশি ওজনের যান চলাচলের কারণে এর আগেও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে তাদের আসল দাবি, ২০১৬ সালে এই অঞ্চলে একটি জল প্রকল্প তৈরি করার জন্য চাষযোগ্য খালি জমি কেনে রাজ্য সরকার। জমির মালিকদের পরিবার পিছু একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছিল জল প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। তবে সেই কথা রাখা হয়নি বলে দাবি করেছেন জমি মালিকরা। জানা গেছে, "জল প্রকল্প" নির্মাণকারী 'ভি টেক' নামের এক বেসরকারি সংস্থা।
গ্রামবাসীদের দাবি, প্রকল্প কর্তৃপক্ষ আরও বলেছিলেন, প্রকল্পের জন্য আঞ্চলিক ক্লাবের খেলার মাঠটি ব্যবহার করা হবে প্রয়োজনে, বিনিময়ে ক্লাব ও সংলগ্ন মাঠটির উন্নয়ন বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ এবং 'রাধাকৃষ্ণের' মন্দির সংস্কার ও পূর্নর্নির্মানও করবে ভি টেক। খেলার মাঠে বড় বড় ইট এবং পাথর ফেলা হয়, মাঠ ভীষণ খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু সময় পেরিয়ে ২০২০ সালের শেষ দিকে চলে আসলেও একবিন্দু কথাও রাখেননি তারা । জল প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার দরবার করা হলেও গ্রামবাসীদের আশ্বাস ছাড়া কিছুই জোটেনি। গতবছর বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জল প্রকল্পের সামনে দাঁড়িয়ে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে যান ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তহে তিনি সেই অঞ্চলে আসবেন এবং রাস্তার পাশের পাকা নর্দমা ও ভালো রাস্তা এবং খেলার মাঠটির উন্নয়ন করবেন । সে কথাও বিধায়ক ভুলে গিয়েছেন বলে আক্ষেপ করেছেন খাসবাটি অঞ্চলের মানুষজন। শেষমেশ বাধ্য হয়েই তারা গতকাল রাতে একটি 'ক্রেন' আটকে বিক্ষোভ দেখান, অবশ্য এনিয়ে জলপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি l
No comments