ব্রেকিং নিউজ

পরবর্তী নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকবে তৃণমূল : তন্ময় ভট্টাচাৰ্য

সাতদিনের সমাচার : রাজ্যে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে। এমনটাই দাবি করলেন সিপিআই এমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচাৰ্য। মঙ্গলবার কাঁচরাপাড়া গান্ধী মোড় সংলগ্ন একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের সামনে সিপিআইএম ও জাতীয় কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলে অনেক সৎ মানুষ আছেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল গঠন হওয়ার পর যাঁরা বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন,আজকে তাঁরা ব্রাত্য!দলটা তোলাবাজ, সিন্ডিকেটদের দখলে চলে গেছে। তিনি আরও বলেন, জ্ঞানেশ্বরী কান্ডে ১৪৮জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতো যাবৎজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। কিন্তু মমতা ব্যানার্জী তাঁকে জেল থেকে বের করে তৃণমূলের যুগ্ম মুখপত্র পদে বসিয়েছেন। এমনকি তাঁর স্ত্রীকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিও বিজেপিতে চলে যাবেন। কারণ তিনি বুঝতে পারছেন,তৃণমূলের নৌকা ডুবছে। মমতা ব্যানার্জীর লক্ষ্য তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়া নয়। ভাইপোর সম্পত্তি রক্ষা করা। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কথা তুলে ধরে বলেন, তাঁর সঙ্গে গরু পাচারের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব। আগে এই টাকা মেদিনীপুর হয়ে কালীঘাটে যেত, এখন সাদা রঙের অ্যাম্বুলেন্স করে সরাসরি টাকা কালীঘাটে চলে যাচ্ছে। আর এই দ্বন্দ্ব মেটাতে ময়দানে নেমেছেন সৌগত রায়। শুভেন্দু, সৌগত  বিজেপিতে চলে যাবেন। কারণ নারদায় নাম জড়িয়েছে সৌগত রায়ের। এছাড়া তিনি বলেন, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রদের নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। আসলে সামনে ভোট, তাই চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। তৃণমূল-বিজেপির গোপন আঁতাতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১১সালে সোনার বাংলা গড়তে  মুকুল রায়, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত্ত, শঙ্কুদেব পান্ডা ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দিতে বলেছিলেন। আর ২০২১-এ সোনার বাংলা গড়তে পদ্ম চিহ্নে ভোট দিতে বলবেন। এদিন তিনি রাজ্যসরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত শ্রম আইন, কৃষিআইনের সমালোচনা করে বলেন, একের পর এক সরকারি সংস্থা রেল, ব্যাঙ্ক, বীমা, শিল্পকে বেসরকারিকরণ করে দিচ্ছে মোদী সরকার। ভারত পেট্রোলিয়ামকে বিদেশি কোম্পানির কাছে বিক্রি করার জন্য পাঁচবার টেন্ডার ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার!কোভিড আবহে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দিনদিন বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশ বিক্রি করে দিতে চাইছে। জিও সিমের সঙ্গে কৃষিবিলের তুলনা করে তিনি বলেন, আজকে কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের বেশি দাম পাবেন। কিন্তু দু'বছর বাদে কর্পোরেট সংস্থার ঠিক করা দামেই ফসল বিক্রি করতে হবে কৃষকদের। বিজেপির ভ্রান্ত অর্থনীতির প্রকোপে সাধারণ মানুষকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার! এদিনের সান্ধ্য সভায় ২৬ নভেম্বর দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আয়োজক সিপিএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশীষ রক্ষিত, কাঁচরাপাড়া শহর কংগ্রেস সভাপতি তাপস সিনহা,  শক্তি মৈত্র প্রমুখও।

No comments