পিজিতে "নেই বেড" যুবক চিরতরে হারাল হাতমহিউদ্দীন আহমেদ
স্রেফ একটি "বেড "। আর তা না থাকার জন্য বীরভূমের শান্তিনিকেতনের লোহাগড় গ্রামের তরতাজা যুবক পেশায় কল মিস্ত্রী হারালো তার ডান হাত। "বেড নেই " রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি এসএসকেএম হাসপাতালে। বীরভূমের বোলপুর মহকুমার লোহাগড় গ্রামের বছর চব্বিশের যুবক সেখ তাজমুলকে শান্তিনিকেতন থানার কালীসায়ের মোড়ে ১১ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় একটি দশ চাকা ট্রাক ধাক্কা মারে। তাজমুল প্রানে বেঁচে গেলেও তার ডান হাতের কনুইয়ের উপর দিয়ে চাকা চেপে যায়। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছটার মধ্য ঐ যুবককে প্রথমে বোলপুর বিপিএইচসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল। অবস্হা গুরুতর বলে রেফার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিট্যালে। তাজমূলকে রাত সাড়ে দশটার সময় আনা হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল হসপিট্যাল কলকাতার এনআরএস, আর জি কর বা পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাবার কথা বলে রেফার করে। শনিবার রাতে পিজি হাসপাতালে তাজমুলকে আনা হয়। সেখানে প্রাথমিক ভাবে অর্থপেডিক চিকিৎসক দেখলেও কোন বেডের ব্যাবস্হা হবে না বলে জানিয়ে দেয় সকাল ৬ টায়। তাজমূলের দাদা সেখ মুনতাজ, এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও ফিরিয়ে দেয়। এন আর এসের পর বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে জানায় হাত কেটে বাদ দিতে হবে। সেখানেও খরচের বহর দেখে চোখ কপালে। খরচের বহর দেখে দিশেহারা হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় আহতকে সল্টলেকের উল্টোডাঙ্গায় বেসরকারী হহাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহরের এক নামী অর্থপেডিক বলেন, এই সব ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৯ ঘন্টার মধ্যে ভাসকুলার সার্জারি করতে পারলে হাতটা বাঁচানো যেত। পিজির সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দায়িত্ববান হতে পারতেন।আহতের দাদার আপশোষ, কলকাতার পিজি হাসপাতাল যদি তার ভাইয়ের বেড এর ব্যবস্হা করতো, তাহলে তার ভাইয়ের হাতটা বাঁচানো যেত।
No comments