ব্রেকিং নিউজ

গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃতু,পথ অবরোধ স্থানীয়দের

সাতদিনের সমাচার :  গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা নৈহাটি গরুরফাঁড়ি এলাকায়৷পুলিশে অভিযোগ না নেওয়ার প্রতিবাদে মৃতদেহ ফেলে  রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার এবং স্থানীয়রা৷ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে নৈহাটি থানা এলাকা গরুরফাঁড়ি মোড়ে ৷ স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে 
,এদিন সকালে নৈহাটি পুরসভার ১নং ওয়ার্ড হরিনগর কলোনি এলাকা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ৷ মৃত বধূর নাম কেয়া দে (১৯) ৷ বাড়ি ওই এলাকাতেই ৷ কেয়ার পরিবারের অভিযোগ,কেয়াকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে  তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ মৃতের বাবা বিশ্বজিত দে সাইকেল দোকানের কর্মী  ৷ তার অভিযোগ,গত এগারো মাস আগে কেয়া বান্টি নামে  নবনগরের এক যুবকের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছিল৷ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাতো তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ আজকে সকালে এক ব্যক্তি বাড়িতে এসে জানায় মেয়ের শরীর খারাপ তাকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি মেয়ে আর নেই ৷ আমরা থানায় গেলে অভিযোগ না নিয়েই পুলিশ আমাদের ফিরিয়ে দেয়৷ আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই৷ কেয়ার ভাই পেশায় টোটো চালক সনৎ বলেন,আগেরদিন দিদি বাড়ি এসেছিল, বেশ খুশি ছিল ও,  ওর মেজো জা ওকে আমার বন্ধুর স্কুটি চালাতে দেখে খুব বকাঝকা করে ৷ তারপর দিদি বাড়ি চলে যায়৷ আর আজ সকালে এই ঘটনা ! বলছে ও নাকি আত্মহত্যা করেছে, ও এই কাজ করতেই পারে না, আমাদের এখন একটাই দাবি  দিদিকে যারা মেরেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই৷' কেয়ার  আত্মীয় সুরজিত দত্ত বলেন,'আমরা অন্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গিয়ে শুনি ও নাকি গলায় দড়ি দিয়েছে ৷ বিয়ের পর থেকেই কেয়ার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতো ওরা৷ অভিযুক্তদের শাস্তি চাই৷' এদিন পথ অবরোধের জেরে ঘোষপাড়া রোডে যানজটের সৃষ্টি হয়৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা৷ কেয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,এদিন রাতেই নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

No comments