ব্রেকিং নিউজ

নীতি আদর্শ সব ভাঁওতা : ক্ষমতাই আসল - হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বীজপুরবাসি

সাতদিনের সমাচার : তক্কে-তক্কে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। অবশেষে শনিবারের প্রায় বারবেলাতে মুকুল রায়ের গড় দখল করে মুখে আপাতত হাসি ফুটল তাঁরই। হাসছেন অবশ্য  কাঁচড়াপাড়াবাসীরাও। টিভি, খবরের কাগজ বা পোর্টালগুলো খুললেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাটপাড়ায় বোমাবাজি আর মৃত্যুর খবরে রেশ কাটতেই এখন সংবাদ শিরোনামে একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড, বর্তমানে বিজেপি'র বাংলা দখলের সেনাপতি মুকুল রায়ের নিজের গড় বীজপুর। ঘনঘন দলবদল করায় রেকর্ড করে ফেলছেন বীজপুরের দুই পুরসভা কাঁচড়াপাড়া ও হালিশহরের কাউন্সিলররা। যে খবর পড়ে ও দেখে তিতিবিরক্ত এলাকার মানুষ ভাবছেন, কাদের দিয়েছিলেন রাজা-রানীর পাট ! 
ক'দিন আগে বিমানে দিল্লিতে গিয়ে যাঁরা ঘাসফুলের গন্ধ সহ্য করতে না পেরে পদ্মের সুবাস নেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করলেন, যাঁদের নেতৃত্বে বীজপুরের তেরঙা পতাকা টাঙানো দলীয় কার্যালয় থেকে ক্লাবগুলো গেরুয়া-সবুজে মোড়া হল বাইক বাহিনী দিয়ে, ব্যস, মাস গড়াতে না গড়াতেই ভোলবদল তাঁদেরই। 'জয় শ্রীরাম' ছেড়ে তারাই এখন তুলবেন পুরনো স্লোগান !
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়ে এবং নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত-কিশোরের সান্নিধ্যে এসে মমতা প্রথমেই হানা দিতে চেয়েছেন খোদ মুকুল-গড়ে এবং এ ব্যাপারে তিনি একশোয় প্রায় একশো। কারণ হালিশহর পুরসভা দখলে নেওয়ার পর মুকুলের 'কাঁচড়াপাড়া পুরসভা বিজেপির দখলে' দাবি নস্যাৎ করে দিলেন মমতা তাঁর বোড়ে সুবোধ অধিকারী, খোকন তালুকদার, বাচ্চু লাহিড়ী, সোনালি সিংহ রায় প্রমুখদের দিয়ে। মাত্র ৫ কাউন্সিলর থেকে আজ নিয়ে দু'দিনে ১৪ জন কাউন্সিলরকে বিজেপির গুহা থেকে নিরাপত্তা দিয়ে দলে ফেরালেন মমতা। মুকুল রায়ের জিম্মায় এখন তাঁর বিধায়ক-পুত্র শুভ্রাংশু সহ মাত্র ৫জন কাউন্সিলর। যাঁদের একজন বিজেপির প্রতীকেই জয়ী হয়েছিলেন, বাকিরা জিতেছিলেন তৃণমূলের প্রতীকে। আজ কাঁচড়াপাড়ার পুরপ্রধান সুদামা রায়, উপ পুরপ্রধান মাখন সিনহা, শ্রাবন্তী সামন্ত, ঝুম্পা সিং ছাড়াও ৫জন কাউন্সিলর বিজেপি মহল ঘুরে ফের তৃণমূল নিবাসে ফিরলেন। কাউন্সিলরদের পাশাপাশি 'দিদি' এলাকা দখলে রাখার জন্য এলাকার 'দাদাদের' দিকেও নজর দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কাঁচড়াপাড়া-হালিশহরের দাদাদের দিয়ে গত দুদিনে পুনর্দখল হয়েছে বীজপুরের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনের পর বিজেপির দখল করা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ও ক্লাবগুলো। আর সেজন্যই  হালিশহরের সুদীপ্ত দাসকে তৃণমূল কব্জা করেছে বলে খবরে প্রকাশ। যদিও আজ বিজেপি থেকে ঘরে ফেরা কাঁচড়াপাড়ার এক মহিলা কাউন্সিলরের আপত্তিতে অভিষেক ব্যানার্জী সংবাদ মাধ্যমকে তাঁকে 'দলে নেওয়া হল' বলে জানাতে পারেননি।

No comments