অর্জুন আশ্রিত সমাজ বিরোধীরাই ভাটপাড়ায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে : জ্যোতিপ্রিয়
নিজস্ব প্রতিনিধি,বারাকপুরঃ- বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং আশ্রিত সমাজবিরোধীরাই রাতে অন্ধকারে বোমাবাজি করছে। শুক্রবার দুপুরে বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে ভাটপাড়ায় সন্ত্রাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনকে আর্থিক সাহায্য ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এমনটাই বললেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, '১৪৪ ধারার মধ্যেও বোমাবাজি চলছে। বৃহস্পতিবার রাতেও কাঁকিনাড়ায় বোমার আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। অশান্তি কিছুতেই থামতে চাইছে না ভাটপাড়ায়।' এপ্র সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন,'ওখানে এম পি,এম এল এ,চেয়ারম্যান সব বিজেপির। ওরাই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে চায় না। আমরা সবসময় চাই শান্তির ফিরে আসুক। তিনি নাম না করে অভিযোগের সুরে বলেন,এলাকার সাংসদ মজদুর ভবনে মিলিটারি পাহারা দিয়ে সমাজ বিরোধীদের পুষছেন। তারাই রাতে অন্ধকারে বোমাবাজি করেছে। তিনি আরও বলেন,আমারা প্রশাসনের সঙ্গে শান্তি বৈঠকে রাজি, কিন্তু সর্বদল বৈঠক ডাকা হলে বিজেপির সঙ্গে কোনদিনই একসঙ্গে বসবে না তৃণমূল কংগ্রেস।' যদিও খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য,'যদি মজদুর ভবন দুষ্কৃতীদের আশ্রয়স্থল হয় তাহলে বলতে হবে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ।' এদিন বারাকপুর প্রশাসনিক ভবনের অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাটপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭০০ পরিবারের হাতে ১০ কেজি করে চাল ও ঢাল তুলে দেবার পাশাপাশি সন্ত্রাসের বলি চার জনের পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী নিজেই। এছাড়া ২৬৩ টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকের হাতে ২৫ হাজার ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত চারজন বাড়ির মালিকের হাতে ৩৫ হাজার টাকা চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ৪৬ টি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী অর্থ প্রদান করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ,জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী,মহকুমাশাসক আবদুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
No comments