ব্রেকিং নিউজ

উত্তর ২৪পরগনা কে পিছনে ফেলে রাজ্য ক্রীড়ায় চ্যাম্পিয়ন শতবর্ষের ইষ্টবেঙ্গল

সাতদিনের সমাচার : রাজ্যর ৬৯তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হল সাফল্যের সঙ্গে ৷ রবিবার সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ থেকে পাওয়া খবর ছিল কাঁচরাপাড়া বাসিন্দাদের জন্য গর্ব করার মতই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত  শতবর্ষের ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব উত্তর ২৪ পরগনা'কে  পিছনে ফেলে রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যর প্রাক্তন ক্রীড়া কর্তা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন কার্যকারী সভাপতি আশিস  সেনগুপ্ত৷ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ১১০ জন অ্যাথলেটদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন  কাঁচরাপাড়ার ৷ তবে তাদের মধ্যে জাতীয় শিবিরে থাকায় নামতে পারের নি জোনপুর অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের কৃতি অ্যাথলেট অর্পণা ঘোষ৷ প্রতিযোগিতার শেষদিন চোটের কারণে প্রশিক্ষক দেবু চ্যাটার্জীর নির্দেশে নামতে পারেননি শটপাটে স্বর্ণপদক পাওয়া অর্পিতা খান, তথাপি কাঁচরাপাড়া ক্রীড়া শিক্ষণ শিবির ও অ্যাথলেটিক ট্রেনিং সেন্টারের দেবু চ্যাটার্জী এবং সুনিল মন্ডলের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া অ্যাথলেটদের ফল বেশ উজ্জ্বল ৷ প্রসঙ্গত, এই দুই ক্লাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া দুই,তিনজন খেলোয়াড় নদিয়া জেলা ও মোহনবাগানের  হয়ে পদক পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ গোপাল দেবনাথের প্রশিক্ষণে চলা কাঁচরাপাড়ার  জোনপুর অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টার ও রামকৃষ্ণ ক্লাবের খেলোয়াড়রা দুই,তিনটি পদক পেয়েছেন৷ ক্রীড়া শিক্ষণ শিবিরের দেবু চ্যাটার্জীর ছাত্রী শটপাট খেলোয়াড় অর্পিতা খান ও কাঁচরাপাড়া অ্যাথলেটিক ট্রেনিং সেন্টারের  সুনিল মন্ডলের ছাত্রী মৌমিতা(মৌ) রায় ৮০০ মিটারে অল্পের জন্য মিট রেকর্ড করতে পারেননি, যদিও অপর এক ছাত্র মহেন্দ্র সরকার মোহনবাগানের হয়ে ৮০০ মিটারে নেমে রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন সুনিল মন্ডল ৷ আবার জোনপুর অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের  দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নিয়ে গতবছর ইষ্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দেওয়া রাজশ্রী প্রসাদ এবার ছুঁয়েছেন মিট রেকর্ড৷ স্বভাবতেই কাঁচরাপাড়া এখনও বাংলার অ্যাথলেটিকদের অন্যতম আতুঁড়ঘর বলে গর্ব করা যেতেই পারে ৷ এদের পাশাপাশি পদক জিতেছেন কেএসএস'র দেবু চ্যাটার্জীর ছাত্র-ছাত্রী, যথা রোহিত পন্ডিত অনুর্ধ্ব ২০ বিভাগের ওয়াকিং রেস-এ ব্রোঞ্জ, এবং সুস্মিতা সরকার অনূর্ধ্ব ১৪ বালিকা বিভাগে ও সুপ্রিয় সাহা অনূর্ধ্ব ২০ বালক বিভাগে রূপো । শেষের দুজন নদিয়া জেলার হয়ে নেমেছিল, কাঁচরাপাড়ার সুনীল মণ্ডলের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া সুমন মালাকারও নদিয়ার হয়ে নেমে পদক পেয়েছেন। প্রত্যাশা মতই সুনীলেরবাবুর ছাত্রী হলিশহরের মৌমিতা রায় ১০০ মিটারে প্রথম ও ২০০ মিটারে দ্বিতীয় হয়েছে। অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া জোনপুর অ্যাথলেটিক কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষক গোপাল দেবনাথের ছাত্রী অপর্ণা ঘোষ এখন ভারতীয় শিবিরে, আরেক ছাত্রী নেহা প্রামানিক আশানুরূপ ফল করতে পারেনি ব্যক্তিগত দুটি ইভেন্টেই চতুর্থ। যদিও ৪×১০০ মিটার রিলেতে উত্তর ২৪ পরগণাকে রুপো পেতে সহযোগিতা করেছে। গোপালবাবুর অন্যান্য পদকপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনূর্ধ্ব ১৮ বালিকা বিভাগের ১০০ মিটারে প্রিয়ঙ্কা হালদার পেয়েছে রুপো এবং মৌসুমি রায় অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে পেয়েছে ব্রোঞ্জ। আবার রামকৃষ্ণ স্পোর্টিং ক্লাবের ঋতিক পাল হাইজাম্পে ব্রোঞ্জ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লাবকর্তা অলোক ভদ্র।

No comments