শ্রমিকদের লাগাতার ধর্মঘটে প্রতিরক্ষা শিল্প বেসরকারিকরণে পিছোল কেন্দ্র
সাতদিনের সমাচার : প্রায় লক্ষ শ্রমিকের দেশব্যাপী লাগাতার ধর্মঘটে টনক নড়ল সরকারের। শেষমেশ প্রতিরক্ষা শিল্পের মত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত থেকে পিছোল কেন্দ্রীয় সরকার। গত মঙ্গলবার থেকে প্রতিরক্ষা শিল্পের শ্রমিক সংগঠনগুলির শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক ফলপ্রসূ হওয়ায় উঠে গেল ধর্মঘট। প্রসঙ্গত, দেশের ৪১টি অর্ডিনান্স ফ্যাক্টরিতে একমাস ব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ৩ ফেডারেশনের যৌথ কমিটি। কংগ্রেস-বামেরা ছাড়া এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন খোদ বিজেপি'র শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরাও। যদিও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানাতে আসেননি আইএনটিটিইউসি নেত্রী দোলা সেন। যদিও বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির গেটে শ্রমিকদের ধর্মঘটকে সোচ্চারে সমর্থন জানিয়েছিলেন ।
ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির গেটে দাঁড়িয়ে গতকাল শ্রমিক নেতা দেবজ্যোতি বসু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা তাঁদের নৈতিক জয়। আগামী সোমবার থেকে কাজে যোগ দেবেন ধর্মঘটে সামিল সাড়ে ৭ হাজারের ওপর শ্রমিক। তবে ফের যদি কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরণের প্রয়াস নেয় তবে তাঁরাও বুক চিতিয়ে লড়াই করবেন। তাঁর দাবি, এক লক্ষ কোটি টাকার ওয়ার্ক লোড এলেও, তাঁরা পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন করে দেখিয়ে দেবেন কিন্তু অর্ডিনান্স ফ্যাক্টরিকে বেসরকারিকরণ করতে দেবেন না।
প্রতিরক্ষা শিল্প বলে কথা! স্বভাবতই উৎকণ্ঠা ছিল সারা দেশেই। শ্রমিকনেতাদের দাবি ছিল, একেতো প্রতিরক্ষা শিল্প বেসরকারিকরণের অর্থ দেশকে নিরাপত্তাহীন করা। দ্বিতীয়ত স্থানীয় শ্রমিকদের চাকরির নিরাপত্তা কমে যাওয়া।
রাজ্য আই এন টি ইউ সি নেতা কামারুজ্জামান কামার আজ দূরভাষে জানান, গতকাল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব লিখিতভাবে শ্রমিক সংগঠনগুলিকে জানিয়েছেন যে 'প্রতিরক্ষা শিল্প কর্পোরেটাইজেশন বা বেসরকারিকরনের কোন পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকার এখনো নেয়নি, কাজেই এ ব্যাপারে শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।' এরপরই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শ্রমিকরা।
No comments