রেল শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ক্ষোভ দেশজুড়ে
সাতদিনের সমাচার : দেশজুড়ে শ্রমিক সংগঠনগুলো এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থায় ছাঁটাই, ষাট বছরের আগে অবসর, বেসরকারীকরণ নীতিতে আতঙ্কে ভুগছে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারি এর বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে।
গতকাল কলকাতার রানী রাসমনি রোডে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি তাঁদের সভাপতি দোলা সেনের নেতৃত্বে এক সমাবেশ করে। সেখানে রেলে তাঁদের অনুমোদিত সংগঠন ইআরটিএমসি'র কর্মীরা ছাড়াও ব্যাঙ্ক কর্মচারীরাও শম্ভুনাথ বসুর নেতৃত্বে যোগ দেয়।
খবরে প্রকাশ, বেশ কয়েকটি এ ধরনের আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন শ্রমিকদের পরিবারও। দেশের বর্তমান অবস্থায় চাকরি হারালে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে। সেজন্য দেশজুড়ে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। অভিযোগ, এক শ্রেণির নেতৃত্ব অর্থের বিনিময়ে বা নিজেদের চাকরির নিরাপত্তা রাখতেও সরকারের সাথে আপোষ করছে বলে অভিযোগ করলেন ইআরটিএমসি নেতা খোকন তালুকদার।
তাঁর আরো অভিযোগ, রেলের শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এ কারণেই। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, সরকার প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়বে ধরে নিয়েই নির্বাচন পিছোল। কারণ এখনও বিজেপির শ্রমিক সংগঠন গোটা দেশে দুর্বল। রেলে ঐ সংগঠন অনুমোদনও পায়নি। এবারে একটা মরিয়া চেষ্টা করছে। ওরা অনুমোদন পেলেই সরকার তাঁর উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে । কারণ তখন শ্রমিকদের হয়ে বলার কেউ থাকবে না।' অবশ্য এটা শ্রমিকরা বুঝতে পারছেন বলেও তিনি আশাবাদী। অবিলম্বে এই নির্বাচন করতে হবে বলেও ইনি দাবি জানান। যেমন, কলকাতার মঞ্চ থেকে গতকাল দোলা সেন অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কেন্দ্র সরকারকে।
No comments