উত্তর ২৪ পরগণা : দলবদল নিয়ে অসন্তোষ জনগণের
সাতদিনের সমাচার : কোন ইঁদুরকে যে কখন বাঘ হয়েও ক'দিনের মধ্যে 'পুনর্মুষিক ভব' দশায় পৌঁছাতে হচ্ছে, দেবা ন জানন্তি! বিশেষজ্ঞদের মতে, শোচনীয় না হলেও, তৃণমূলের বর্তমান হাল-হকিকত অনেকটাই 'ডুবন্ত জাহাজে'র মত। '২১ সালে তৃণমূলের পুরো মেয়াদের পরে নির্বাচন হলেও রাজ্য বিধানসভায় তাঁরা দলের সিংহভাগ প্রতিনিধিকে জিতিয়ে নিয়ে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান দলের বহু কর্মীর মত আমজনতাও।
গত লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল বলা যায়। ফল প্রকাশের পরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক-কাউন্সিলর থেকে পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় নেতৃত্ব। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর ভোট প্রাপ্তি বিরোধীদের থেকে যথেষ্ট কম হয়েছিল। কিন্তু তারপরই দেখা গেল, ফের তারা তৃণমূলেই ফিরছেন। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। বারাকপুর মহকুমার বাসিন্দা বিজেপি নেতা মুকুল রায় একের পর এক পুরসভা দখল করে নিলেও, তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে গেছেন জনপ্রতিনিধিরা। সেই সুবাদে তৃণমূলের বেশিরভাগ পুরসভা ফের তাঁদের হাতেই চলে এসেছে। এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বারাকপুরের তৃণমূল ত্যাগী সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর মতে, খোদ জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মারফত মমতা ব্যানার্জি ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে যাওয়াদের দলে ফেরাচ্ছে।
এদিকে খুব তাড়তাড়ি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া ভাটপাড়া-নোয়াপাড়ার জনপ্রতিনিধিরা বিধায়ক-পুরপ্রধান সুনীল সিং সহ দলে ফিরছেন বলে জ্যোতিপ্রিয় গতকাল নৈহাটিতে মিছিল করতে এসে মন্তব্য করেন। এরপরই সংবাদমাধ্যমকে অর্জুন-সুনীল জানান, খোদ জ্যোতিপ্রিয়ই নাকি বিজেপিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন।
এহেন অবস্থায় জেলার মানুষ ধন্দে ! ধন্দে দুই দলের নেতা-কর্মী, জন প্রতিনিধিরা। কারণ, জেলায় দলবদলের যা হিড়িক দেখা যাচ্ছে, তাতে দু'দলের নেতাদেরই আর সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করতে পড়ছেন না।
No comments