ব্রেকিং নিউজ

'দিদিকে বলো' কর্মসূচি পালনের আলোচনাসভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ক্ষুব্ধ কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান

সাতদিনের সমাচার : জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে গতকাল কাঁচরাপাড়ায় বসেছিল 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি বাস্তবায়নের আলোচনাসভা। শহর তৃণমূলের পক্ষে সভা ডেকেছিলেন দুই আহ্বায়ক অশোক (খোকন) তালুকদার ও দিলীপ ঘোষ। কাঁচরাপাড়ার সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলর ছাড়াও ২৪টি ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্বকেও সভায় ডাকা হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।। যদিও সভায় আসেননি বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। দলীয় সূত্রে আরো  জানা গেছে, দলের এক শীর্ষনেতা সভায় তৃণমূলের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আঙুল তোলেন দলের দুর্নীতিপরায়ণ ও স্বজনপোষণকারী  কার্যকর্তাদের দিকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মীদের চাকরি বা কাজের বরাত না দিয়ে পুরসভায় দলের ভারপ্রাপ্তরা একতরফা স্বজনপোষণ করছেন বলে অভিযোগ উঠছে? এবং তাতে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেও বা কেন অভিযোগ উঠছে?  দলের কয়েকজনের ভোগ স্পৃহার জন্য দলের বদনাম হয়েছে। এজন্যই তো তৃণমূল গত নির্বাচনে মানুষের সমর্থন পায়নি। বিশেষত  এজন্যই দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছেন।
অভিযোগের তীর স্পষ্টতই ছিল কাঁচরাপাড়ার পুরপ্রধান সুদামা  রায়ের দিকে। সম্ভবত সে কারণেই এক সময় দেখা যায় তাঁকে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে। 
যদিও সভা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয় বলে দাবি করেন সভার অন্যতম আহ্বায়ক খোকন তালুকদার।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই আরো ৭০জন কর্মী নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে কাঁচরাপাড়া পুরসভায়। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পুরকর্তারা যাতে ফের দুর্নীতিতে ভবিষ্যতে না জড়িয়ে পড়েন, সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যাতে ফের পুরসভার কর্মী নিয়োগ বা কাজের বরাত দেওয়া নিয়ে কোন প্রশ্ন না তোলেন, সে ব্যাপারে আগাম সতর্ক করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। 
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি পালনের জন্য পথে নামলে, নিশ্চিতভাবেই উপরোক্ত বিষয়গুলি নিয়ে অনেক মানুষেরই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে তৃণমূল নেতৃত্বকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তৃণমূল পুরপ্রধান ও পুরসভার এক কন্ট্রাক্টর সম্পর্কে বেশকিছু হাতে লেখা পোস্টার শহর জুড়ে পড়েছিল এসব প্রশ্ন তুলেই। অতএব সাধু সাবধান!

No comments