রাস্তার দাবি : সেনাবাহিনীর জেসিবি আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের
সাতদিনের সমাচার : রাস্তার দাবিতে সেনাবাহিনীর জেসিবি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা৷ ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে পলাশি-মাঝিপাড়া গ্রামপঞ্চায়তের অন্তর্গত পশ্চিম নাগদা বেলেমাঠ এলাকায়৷ স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ,এদিন সকালে নির্মাণ কাজের জন্য সেনাবাহিনীর আমদানি করা জেসিবি রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চালাচ্ছিল ৷ ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ তারা সেনাবাহিনীর জেসিবি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পলাশি-মাঝিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়ত প্রধান মিনু হেমব্রম৷ অভিযোগ উঠেছে,বেলেমাঠ এলাকায় ৭০টি পরিবার বসবাস করে৷ গ্রামের তিন'পাশ সেনাবাহিনীর অধীনে থাকায় গ্রামবাসীদের যাতায়াতের পথ বলতে একটি মাত্রই ,সেটাও সেনাকর্তৃপক্ষ বন্ধ করে কাজ করছে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণচন্দ্র বৈরাগী বলেন,১৯৪৫ সাল পর্যন্ত রাস্তাটি সর্বসাধারণের জন্য ছিল ৷ কিন্তু ১৯৪৫ সালে সেনাবাহিনীর অধিনে চলে যায় ৷ তারপর ১৯৫৬ সালে জনসাধারণ হয়ে ৬২সালে ফের আর্মির অধীনে চলে যায়, তারপর থেকেই রাস্তা নিয়ে প্রবল সমস্যা তৈরি হয়৷ আর এক গ্রামবাসী গণেশ বৈরাগী বলেন,২০১৭সালে আমরা বিষয়টি আমরা জেলাশাসক,মহকুমা শাসক,ব্লক অধিকারি থেকে পঞ্চায়ত প্রধানকে জানাই, তারা আর্মির আধিকারিদের সঙ্গে বৈঠক করে, বৈঠকে সেনাবাহিনী ১৮ ফিটের রাস্তা বানিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু আজকে আচমকা জেসিবি দিয়ে রাস্তা খুঁড়ে নির্মাণ কাজ করতে চাইছে ৷ আমাদের যাতায়াতের একটি মাত্র পথ সেটাও যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমরা যাওয়া আসা করব কি করে? স্থানীয় দ্বিপান্বিতা দে বলেন,'সেনাবাহিনী বলেছিল রাস্তা বানিয়ে দেবে, কিন্তু তারা রাস্তা না বানিয়ে নির্মাণ কাজ করছে, তাই আমরা আজ বাধা দিয়েছি৷' তাদের দাবি রাস্তা তৈরি করে দিতে হবে৷ এবিষয় পঞ্চায়ত প্রধান বলেন,'আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার কাজে গ্রামবাসীরা বাধা দিয়েছে, রাস্তাটি আর্মিদের হলেও গ্রামবাসীরাই মূলত যাতায়াত করেন ৷ তাদের অভিযোগ, আর্মি গার্ডওয়াল দিয়ে গেট লাগিয়ে দিতে চাইছে৷ যাতায়াত করতে গেলে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে, তা সব সময় সম্ভব নয়, আমি বলেছি মাটি কাটতে আসলে আপনারা কাজ বন্ধ করে দেবেন৷ গ্রামবাসীদের দাবি রাস্তা ছেড়ে গার্ডওয়াল তৈরী করুক ৷ যদিও রাস্তাটি তাঁদের৷'
No comments