ব্রেকিং নিউজ

মুকুলই শেষ ভরসা অমিতের

সাতদিনের সমাচার : যতই আদি বিজেপিরা নব বিজেপিদের জায়গা ছাড়তে নারাজ হোক, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিন্তু  খড়গহস্তে তাতে অসন্তোষের বার্তা দিচ্ছে ।
বুধবার ফের সেই ইঙ্গিতই ফের স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির সুপ্রিমো অমিত শাহ। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা  কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে দলে প্রবেশ করা মুকুল রায়'কে পশ্চিমবঙ্গের আগামী পুরসভা নির্বাচন পর্যন্ত 'তুরুপের তাস' হিসাবেই আস্তিনে রাখার যে  সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, শাহ তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন এই সভায়।
  দলীয় সূত্রে খবর, শাহরা হন্যে হয়ে চাইলেও মুকুলের বিকল্প বা মুকুলের চেয়েও ক্ষুরধার বুদ্ধিমান এমন কাউকে দলে ভেড়াতে পারছেন না এই মুহূর্তে । তাই মুকুলই বিজেপির একমাত্র সম্বল এ রাজ্যে। অতএব যতই আদিরা 'ভাগ মুকুল ভাগ' ভাবনা নিয়ে চলতে চেষ্টা করুক না কেন, মুকুল ও তাঁর ঘনিষ্টদের শাহরা শীর্ষ নেতাদের সামনেই 'জাগ মুকুল জাগ' বলেই পিঠ চাপড়ে দেবেন।
শেষ বৈঠকে মুকুলকে 'গুরুত্বহীন' ভাবা খোদ রাজ্য সভাপতি, কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের উপস্থিতিতে বঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বকে স্রেফ নব্যদের মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে অমিত কঠোর বার্তা দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁর আশা মুকুল পারবেন ২০২১'র বিধানসভা তৃণমূলের হাত থেকে বিজেপির হাতে তুলে দিতে। অতএব বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড যেন মুকুলের কার্যকলাপ এবং বিরোধী দল থেকে আসা কাউকে নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও অপমানজনক কথা না বলেন। 
এদিকে রাজ্য বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাকি হাত বাড়িয়েছেন তৃণমূলের ২৷৩  শক্তিশালী মুখের দিকে। এঁদের অন্যতম শুভেন্দু অধিকারীকে দলে টেনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিতেও নাকি পিছপা হবেনা বিজেপি ! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুলের সাথে সংঘাত থাকাতেই এ ব্যাপারে আপাতত বিজেপিকে গোপনেই চেষ্টা চালাতে হবে। কারণ বাংলায় মুকুলের চেয়ে তৃণমূলের অন্দরের সুলুক সন্ধান কারোরই নেই। আর সেজন্যই নব্যদের মধ্যে তিনিই একমাত্র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাক পাচ্ছেন অহরহ।
দিল্লী থেকে বৈঠক করে ফিরে মুকুলকে অমিতের ঐক্যের নির্দেশ রক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে তাই ।

No comments