ব্রেকিং নিউজ

বিপজ্জনক গঙ্গাপাড় : পরিদর্শনে অর্জুন

সাতদিনের সমাচার : গঙ্গাপাড় ভাঙনে যেকোনও সময় ধ্বসে  যেতে পারে শতাধিক বাড়ি৷ আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা৷ বৃহস্পতিবার সকালে গারুলিয়া পুরসভার ১৯ এবং ২০নম্বর ওয়ার্ডের এমনই দৃশ্য সরেজমিনে  পরিদর্শন করলেন ব্যারাকপুর লোকসভার সাংসদ অর্জুন সিং৷ এদিন তিনি ওই এলাকা  পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন তাঁদের সমস্যার কথা৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে সাংসদ বলেন, ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ওই এলাকায় গঙ্গার জলে চাপ বেশি ৷ তাই রাস্তায় প্যাচওয়ার্কের মতনই এখানে গার্ডওয়ালে প্যাচ ওয়ার্ক হয়েছে৷ গঙ্গায় জল বাড়লেই যে কোনও মুহুর্তে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ বাড়ি জলের তোড়ে তলিয়ে  যেতে পারে৷ প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ছেড়ে পালাতে হবে এই এলাকার মানুষকে৷ তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, 'ওই এলাকায় দুটি ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ ৪৫লক্ষ টাকা খরচ করে সংস্কার করা ঘাটগুলি জেলাশাসক ফিতে কেটে উদ্বোধন করার পরদিনই ভেঙে পড়েছে৷ গঙ্গায় গার্ডওয়াল তৈরিতে প্রশাসনের অক্ষমতা তুলে ধরে সাংসদ  বলেন,গঙ্গায় গার্ডওয়াল দিতে গেলে বড়-বড় বোল্ডার লাগে৷ কিন্তু এখানে গঙ্গা জলেই গঙ্গা পুজো হয়েছে, অর্থাৎ  গঙ্গারই মাটি কেটে প্যকেটে পুরে গার্ডওয়াল দেওয়া হয়েছে৷ পৃথিবীর ইতিহাসে এমন গার্ডওয়াল কোথাও নেই, ওখানকার মানুষ শঙ্কায় আছেন, তারা আমাকে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন৷ আমি জলসম্পদ বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি৷' গঙ্গা দূষণ নিয়ে তিনি  বলেন, 'বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১২৯টি নিকাশি নালা শহরের অবর্জনা নিয়ে সরাসরি গঙ্গার সঙ্গে মিশে যায়৷ আমরা চাই আবর্জনাকে আটকে দিয়ে শুধু জলটা গঙ্গায় পড়ুক ৷ তার জন্য সবার প্রথম এখানে বড়-বড় বোল্ডার দিয়ে গার্ড দিতে হবে, তারপর গার্ডওয়াল তৈরি করতে হবে৷ সঙ্গে রাস্তাঘাটও সংস্কার করতে হবে, নইলে যে কোনও  মুহুর্তে মানুষের জান প্রাণ সঙ্কটে পড়বে ৷ তার উপর এখানে দুটি ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ হয়রানি শিকার হচ্ছে ৷ দশ টাকার জায়গায় পঞ্চাশ টাকা খরচ করে ঘুরপথে ওপারে যেতে হচ্ছে ছাত্র এবং কর্মস্থলে যোগ দেওয়া মানুষদের৷ আমি এর সুরাহা চাই l' এদিন উপস্থিত ছিলেন, নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনিল সিং, যুবনেতা কুন্দন সিং,আদিত্য সিং মিডিয়া কনভেনার রঞ্জিত পাসওয়ান প্রমুখ৷

No comments