ব্রেকিং নিউজ

এনআরসি : জনসংযোগের মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো

সাতদিনের সমাচার : অসমে জারি হওয়া এনআরসি'র ধাক্কার রেশ ছড়িয়েছে সারা বাংলা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী যতই 'বাংলায় এনআরসি করতে দেব না' বলুন, কিংবা বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যতই বলুন 'একজন বাঙালিও এর আওতায় পড়বে না' - ভবী ভোলবার নয়। ডিজিট্যাল রেশন কার্ড থেকে আধার-ভোটার লিঙ্ক - নিজের ও পরিবারের যাবতীয় পরিচয়পত্র যথাযথ রাখতে উদগ্রীব আম বাঙালি। এজন্য অফিস কামাই, দোকান বন্ধ, চাষবাস শিকেয় তুলে বাংলার আপামর মানুষ ছুটছে রেশন অফিস থেকে পুরসভা, নির্বাচনী কার্যালয় কিংবা সাইবার কাফেতে। 
এই সুযোগে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে সহায়তা করে হৃত গৌরব ফেরাতে ও জনসংযোগ বাড়াতে ময়দানে শাসক-বিরোধী, তৃণমূল-সিপিএম। বিজেপি ব্যস্ত অন্য কর্মসূচিতে। এ ব্যাপারে তাঁদের উৎসাহ কমই মনে হয়েছে। যদিও বিজেপি'র কাঁচরাপাড়া মণ্ডল কমিটির সভাপতি সমর দাস দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি এটাও বলেছেন যে লিঙ্কের কাজটা করার দায়িত্ব সরকারের নির্দিষ্ট কর্মীদের। 
তাঁর বক্তব্য সঠিক হলেও 'তাঁদের দেখা নাই রে' বলেই জনসংযোগ বাড়াবার হাতে-গরমে সুযোগকে কাজে লাগাতে বীজপুরে গোটা কয়েক শিবির খুলে বসেছে তৃণমূল ও সিপিএম। হালিশহরের শীর্ষনেতা প্রবীর সরকারের নেতৃত্বে বাগমোড়ের ডা: ভবতোষ দাশগুপ্ত স্মৃতি ভবনে, তৃণমূল নেত্রী সোনালী সিংহ রায়ের নেতৃত্বে কাঁচরাপাড়ার থানা মোড়ের বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্মৃতি ভবনে শুরু হয়েছে আধার-ভোটার লিঙ্কের কাজ। অন্যদিকে ওয়ার্কসপ রোডে পুজোয় তৈরি দলের বই বিক্রয় কেন্দ্রে এবং ৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডেও সিপিএমের এরিয়া কমিটির নেতা দেবাশিস রক্ষিতের নেতৃত্বে চলছে একই কাজ। তরুণ প্রজন্ম সোৎসাহে সকাল-সন্ধ্যায় কম্পিউটারে চোখ রেখে সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা একেকজনের পরিচিতির তথ্য জেনে নেটওয়ার্কের লিঙ্ক থাকলে লিঙ্ক করে দিচ্ছেন নিখরচায়। যেখানে সাইবার কাফেতে একই কাজ করাতে কোথাও শতাধিক টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে সাধারণের দাবি। স্বভাবতই খুশি  তাঁরা। এভাবেই জনসংযোগ ও জনসন্তুষ্টি সাধনের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল ও সিপিএম।

No comments