রামধনু হেঁসেলে' বস্ত্রদানে 'আজকের অনুভব পত্রিকা' পরিবার
সাতদিনের সমাচার : রোজকার মতই পঞ্চমীর দুপুরে 'রামধনু হেঁসেলে' পেটভরে খাবার আশায় হাজির ছিল শ'খানেক বিভিন্ন বয়সের অসহায় দুঃস্থ মানুষ l স্থানীয় যুবক সুদীপ্ত দাসে'র উদ্যোগে শুরু হওয়া ' রামধনু হেঁসেলে'র শহরজোড়া খ্যাতির কারণে 'আজকের অনুভব পত্রিকা' পরিবার সেই হেঁসেল'কেই বেছে নিয়েছিল অসহায় মানুষগুলোর হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিতে l সেইমতো বৃহস্পতিবার অনুভব পরিবারের পক্ষে যদুনাথ মণ্ডল ও খগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বস্ত্রদান শুরু করেন রামধনু হেঁসেল-এ পাত পেড়ে বসে থাকা প্রথম পর্বের প্রায় জনা তিরিশ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। বাইরে তখনও অপেক্ষারত প্রায় জনা পঞ্চাশ। পুরুষ, কমবয়সীদের জামা-প্যান্ট-চুড়িদার-পাঞ্জাবি প্রভৃতি যথেষ্ট থাকলেও, কিছু কম পড়ে শাড়ি। বস্ত্রদানকারী সংস্থার মুখ্য সম্পাদক সমীর রায় অবশ্য আগত দুঃস্থ মহিলাদের মধ্যে যারা শাড়ি পাননি, তাদের প্রতিশ্রুতি দেন, খুব শিগগিরি তাদের নতুন শাড়ি তুলে দিতে আসবেন তাঁরা।
স্টীলের থালায় পড়ল ভাত, সয়াবিনের পাঁপড় ভাজা, কুমড়ো দিয়ে ডাল আর আস্ত ডিমের ডালনা। এসব দেখে ফেরার সময় আজকের অনুভব পত্রিকার মুখ্য সম্পাদকের অনুভূতিতে এসেছিল নেপথ্য-নায়ক সুদীপ্তর অনুপস্থিতি। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় একশো তিরিশ কোটির দেশে এমনিতেই প্রতিদিন সকলের খাবার জটে না, বহু মানুষের একবেলা খেয়ে বাঁচেন। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক শহরেই এমন একটা দাতব্য 'হেঁসেল' না থাকলে দুঃস্থ-অসহায় মানুষের বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব। সুতরাং 'রামধনু হেঁসেল' এর দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন পত্রিকা পরিবারের সদস্যরা । এমনকি এগুলো বাঁচিয়ে রাখতে আরো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে আহব্বান জানিয়েছেন তারা ।
No comments