ব্রেকিং নিউজ

সরকারি সাহায্যের আর্জি মূক ও বধির ছাত্রের

পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর : সামাজিক বিভিন্ন বাধা কাটিয়ে দৈন দুর্দশার মধ্যেও দীর্ঘদিন ধরে  নিজস্ব পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা এবং উদ্দ্যম প্রচেষ্টায়  লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হীরালাল মাহাতো (১৫) নামে এক মূক-বধির ছাত্র । আর্থিক প্রতিকূলতা কাটাতে দিন আনা দিন খাওয়া ছাত্রটি অবশেষে সরকারি সাহায্যের আর্জি নিয়ে পথে নেমেছে।
জানা গেছে,  হিলি ব্লকের ৫ নম্বর জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামালপুর গ্রামে কমল চন্দ্র মাহাতো ও সঞ্জনী মাহাতোর দুই ছেলে হীরালাল মাহাতো ও চঞ্চল মাহাতো। বড় ছেলে হীরালাল স্থানীয় ত্রিমোহিনী প্রতাপ চন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র । হীরালালের বাবা কৃষিকাজ এবং মা অন্যের বাড়িতে ঠিকা পরিচারিকার কাজ করে দিন অতিবাহিত করে । কাজে যেতে পারলে অন্নের যোগান ঘটে আর কাজে না যেতে পারলে এক বেলা খেয়ে আর একবেলা না খেয়ে দিন কাটাতে হয় । অভাব অনটনের মধ্যে  ছেলের চিকিৎসা তো দূরের কথা একমুঠো খাবার যোগানো মুশকিল হয়ে পড়ে পরিবারের । ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরালালের সহপাঠী সোমেন মালী ও জয়ন্ত নুনিয়া জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই হীরালাল বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে, ও  পড়াশুনায় ভালো, কিন্তু তাকে যদি আরেকটু তত্ত্বাবধানে রাখা  যায় তাহলে আগামী মাধ্যমিক পরীক্ষায় সে খুব ভাল ফল করতে পারবে ।
ত্রিমোহিনী প্রতাপ চন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষিকা চৈতালি চাকি জানান, যতটা সম্ভব হীরালালের ইশারা বুঝে তাকে সাহায্য করা হয় । পড়াশুনার প্রতি তার অদম্য ইচ্ছা রয়েছে । বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা হলেও তার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যদি সরকার সাহায্য করতো তাহলে ছেলেটি আরও একটু উপকৃত হতো । মূক ও বধির হীরালাল ইশারায় করুন আকুতি সহকারে সংবাদমাধ্যমকে একটি সাদা খাতায় লিখে জানায় আর্থিক সংগতি না থাকার জন্য তার কানে শুনতে না পাওয়া ও কথা না বলতে পারার জন্য  এখনও  পর্যন্ত কোন বড় কোনো চিকিৎসকের কাছে দেখাতে যেতে পারেনি । যদি সরকার কিংবা কোন সহৃদয় ব্যাক্তি তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে সে খুবই উপকৃত হত ।

No comments