ব্রেকিং নিউজ

স্পল্ডিং রোডে অকালবোধন

সাতদিনের সমাচার :  দেখতে দেখতে ৬৪তম বর্ষে পা রাখল কাঁচরাপাড়ার স্পল্ডিং রোডের যুব সংঘের দুর্গাপুজো। এলাকার মধ্যে একমাত্র এই মণ্ডপেই প্রতি বছর রামচন্দ্রের অকালবোধনের ইতিহাসকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
রাজ্য জুড়ে চলা দুর্গোৎসবে দেবী দুর্গার কাল্পনিক ও আধুনিকতায় মোড়া বা শৈল্পিক রূপের অন্ত নেই। চলছে এ-পাড়ার ও-পাড়াকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই। ইতিহাসকে সামনে রেখে দুর্গাপূজার আয়োজন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তপ্রায়। অথচ দুর্গাপুজো পুরাণের মতে হওয়ার কথা বসন্তকালে। যাকে আমরা বাসন্তীপুজো বলি। সে পুজোর নেপথ্যেও আছে আরেক কাহিনী। এখন যে দুর্গাপুজোকে ঘিরে যে উৎসব হয়ে থাকে সেই পুজো অকালে করেছিলেন অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্র। তাই এই পুজোকে বলা হয়  'অকালবোধন'। দেবী দুর্গাকে অকালে সন্তুষ্ট করে মহাপরাক্রমশালী রাবণকে বধ করে পত্নী সীতাকে উদ্ধার করার বর লাভ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
তাই সেই ইতিহাসকে স্মরণে রেখে যাঁরা পুজোর আয়োজন করেন, সেখানে দৃশ্য হয় - অসুরনাশিনী দুর্গামূর্তির দু'পাশে রামের ভ্রাতা লক্ষণ ও রামের একনিষ্ঠ ও বিশ্বাসী ভক্ত বীর হনুমান। রামচন্দ্র তাঁদের সাক্ষী রেখে পুজোর সময় দেবীদুর্গাকে চক্ষুদান করতে পর্যন্ত উদ্যত হয়েছিলেন। যদিও সেই মুহূর্তেই দেবীর আবির্ভাব হয় এবং তিনি তাঁর পরম ভক্ত রামচন্দ্রকে বর প্রদান করেন। পুরানের এই কাহিনী শোভা পাচ্ছে  স্পল্ডিং রোডের দূর্গা পুজোয় l

No comments