বিবাহ বার্ষিকীতে দারিদ্র নারায়ণ সেবা : পথ দেখালেন নিরু
সাতদিনের সমাচার : 'জীবে প্রেম করে যেই জন,সেই জন সেবিছে ঈশ্বর' স্বামীজীর অমৃতবাণীকে সামনে রেখে সেই পথেই অনুসরণ করলেন নিরুবাবু! তাও বুধবার নিজের ২৫তম বিবাহবার্ষিকীর দিনে !এদিন সকাল থেকেই তাই সাজসাজ রব তার কল্যাণীতে নবনির্মিত আসিয়ানায়, বিবাহবার্ষিকীতে অতিথি হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন দারিদ্রক্লিষ্ট দুবেলা দুমুঠো খেতে না পাওয়া মানুষজন!অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ পথ ছিল সুন্দর করে সাজানো!এক সময় কাঁচরাপাড়া নাকড়ি মন্ডল রোডের বাসিন্দা তথা কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়ার্কশপের হালিশহর স্টোরের শ্রমিক প্রায় অবসরের মুখে l ইতিমধ্যেই যিনি কল্যাণীর একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিপরীতে বাড়ি তৈরি করে স্ত্রী ও তিন কন্যা কে নিয়ে বসবাস করছেন, নিজের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী পূর্তিতে তিনি চেয়েছিলেন অন্তত একদিনের জন্য হলেও কিছু মানুষ যারা পেটভরে খেতে পান না আজও, তাদের মুখে যৎসামান্য কিছু তুলে দিতে, এদিন অন্যদের সাথে তিনি নিজের হাতে খাবার পরিবেশন করলেন অভুক্তদের l আর পাঁচটি অনুষ্ঠানের মতো দরিদ্রদের জন্য অথিতি অভ্যাগতদের মতোই বাঙালি ভোজনের আয়োজন ছিল ভাত,ডাল,বাঁধাকপির তরকারি,মাছ ,চাটনি,পাঁপড়,রসগোল্লা ও দই সহযোগে, শুধু তাই নয় ভোজন শেষে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রণামী স্বরুপ নতুন পঞ্চাশ টাকার নোট ও একটাকার কয়েনও তুলে দিলেন তাঁদের হাতে! বয়স্কদের পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদও চেয়েছেন নিরুবাবু l তিনি বলেন, '২৫তম বিবাহবার্ষিকী বলে নয়, এরপর থেকে আমাদর বাড়িতে যখনই কোনও অনুষ্ঠান হবে আমরা নিশ্চই এনাদের ডাকব, আশীর্বাদ নেব, তিনি আরও বলেন, 'আবু'দা (মৃনাল সিংহরায়) র জন্য আজ আমি নিরু যাদব হতে পেরেছি!তাই আবুদা আমার কাছে ভগবান! তিনি আমায় শিখিয়ে গেছেন কিভাবে মানুষের সেবা করতে হয় l' বাবার কাছ থেকে ব্যবসায়িক কেন্দ্রটি উপহার স্বরূপ মেয়ে শ্বেতা যাদব আবেগ মিশ্রিত গলায় জানান,'বাবার জন্য গর্ব হয়! আমি বাবার মতোই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই l'
No comments