ব্রেকিং নিউজ

কালোবাজারি আটকাতে প্রশাসন ততপর : মানুষ সচেতন হচ্ছে কই!

সোনালী ব্যানার্জি : খোলা বাজারে করোনা ভাইরাসের দাপট নিয়ে সমাচার সাতদিনের প্রতিবেদন প্রকাশ হবার পর নড়েচড়ে বসেছে বীজপুর পুলিশ প্রশাসন l মাস দুয়েকের রেশন মজুত করতে একশ্রেণীর বিত্তবান ক্রেতা  যেভাবে হুজুকে মেতেছে তাতে খাদ্যবাজারে প্রভাব পড়তে বাধ্য, বিশেষ করে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কালোবাজারির বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না, যাতে প্রভাবিত হয়ে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়তে চলেছেন- এমন আশংকা থেকে সমাচার সাতদিনের বিগত প্রতিবেদনে সাড়া দিয়ে বীজপুর পুলিশের একটি দল আজ হালিশহর জেঠিয়া বাজারে বিভিন্ন মুদি ও চালের দোকানে হানা দেয়, কিন্তু ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, যেহেতু ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছেন, তাই তাদের কোনওভাবেই ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না, যতক্ষণ  স্টক থাকছে, ততক্ষন তারা মাল বিক্রি করছেন, যেহেতু বিষয়টি আইনবিরুদ্ধ নয়, তাই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তাই সাধারণ ক্রেতাদের সচেতন করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছেন স্থানীয় বুদ্ধিজীবী মহল l তবে প্রশাসন ততপর হলেও সেইসব হুজুকে মাতা ক্রেতাদের আটকানো যাচ্ছে কই ! আজ সকালে স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী তপন দে দোকান খুলতে দেরি করেছেন, কিন্তু ভোরবেলা থেকেই প্রায় শ'খানেক ক্রেতা দোকান খোলার অপেক্ষায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানা গেছে, এদিকে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তেমন কোনও প্রচার চালানো হয় নি, সুতরাং আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত চাল মজুত করার লাইন চোখে পড়েছে, চাল কিনতে আসা অরিজিৎ পাল, দেবব্রত কর, পলাশ মল্লিক, জয় মুখার্জী'রা জানালেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আগামী কয়েকদিন পর থেকেই নাকি খোলা বাজারে আর চাল সহ মুদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আর পাওয়া যাবে না, এমনকি চালের আমদানিও নাকি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ! তার উপর কারফিউ জারি হচ্ছে শুনছি, তাই যতটা পারছি কিনে রাখছি দাদা l' এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ, তীর্থ মুখার্জী এবং ভুবন কর জানালেন,' রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত, আমরা জেঠিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও জোর প্রচার চালাচ্ছি মানুষকে সচেতন করতে l' তবে  পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসন যতই ততপর হোক না কেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মন থেকে আতঙ্ক দূর না করা যাচ্ছে ততক্ষন এ চলতেই থাকবে l

No comments