নক্ষত্রপতন অব্যাহত : অভিনয় জগতের অপূরণীয় ক্ষতি করেই বিদায় নিলেন ঋষি
বাপ্পাদিত্য বিশ্বাস : "বাকরুদ্ধ আমরা ! বাকরুদ্ধ সিনেমা জগৎ !! বাকরুদ্ধ গোটা দেশ !!! গতকালের টাটকা তাজা ক্ষত'তে ফের কেউ আরও একটু 'ঘা' দিয়ে গেল ! ভক্তদের চরম যন্ত্রনা দিয়ে সকলের আদরের চিন্টু চিরতরে চলে গেল ঘুমের দেশে ! আসলে তারা'রা বোধহয় এভাবেই খসে পড়ে !!
'ববি' দিয়ে যার যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল, পরে একের পর এক হিট ছবির মাইলস্টোন পেরিয়ে ৮০-র দশকে 'রোম্যান্টিক হিরো' হিসেবে নারী ভক্তদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তাঁর লিপে তাবড় শিল্পীদের এক সে বড় কর এক হিট গান এবং ছবি বক্স অফিস মাত করেছিল টানা দুই দশক ! তিনিই তো শিখিয়েছিলেন, "জীবন কে দিন ছোটে সহি۔۔হম ভি বড়ে দিলওয়ালে۔۔۔" !
ইরফান খানের পর ঋষি কাপুর ! লক ডাউনের এই দুরবস্থার মধ্যেই অভিনয় জগতের দু'ই নক্ষত্রের এ ভাবে খসে পড়ার ধাক্কা সামলেই উঠতে পারছে না গোটা দেশ l
এ হেন মানুষটি ২০১৮ সাল থেকেই কর্কট রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি কিছুটা সুস্থ হয়ে আমেরিকা থেকে মুম্বইয়ে ফিরেই কাজে যোগ দেন। বুধবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বইয়েরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জানা গেল মুম্বইয়ের হাসপাতালে ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে লড়াইতে হেরে গেছেন এই কিংবদন্তী অভিনেতা।
তাঁর পরিবারের তরফে জানা গেছে, টানা দু’বছর ব্লাড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। তবুও চিকিৎসা চলাকালীন জীবনকে প্রাণ ভরে উপভোগ করতেন। পরিজন, বন্ধু-বান্ধব , খাওয়া-দাওয়াই ছিল ওঁর প্রাণ চঞ্চলতা এবং লড়াকু মনোভাবের মূল চাবিকাঠি। কর্কট রোগ কোনওদিনই ভয় দেখাতে পারেনি মানুষটিকে। বিশ্ব তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ভক্তদের ভালোবাসার কাছে তিনি ছিলেন চির কৃতজ্ঞ। তাই ওঁর মৃত্যুর পর চোখের জল নয়, হাসি মুখে মনে করলেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন চিন্টুজি ' ۔۔বলছেন তাঁর পরিজনরা ।
No comments