মালঞ্চে মধুচক্র ! এলাকার সুনাম নষ্টের তীব্র অভিযোগ : ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের প্রচেষ্টাতে আটক ১৪
সাতদিনের সমাচার : কারবার চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই, ছিল বিস্তর অভিযোগও l এলাকার লোকজন দেখলেও প্রতিবাদের সাহস পেতেন না, এলাকার বিশেষ সাংস্কৃতিক পাড়া হিসেবে পরিচিত মালঞ্চ পোস্টাফিস পাড়াতে প্রখ্যাত নাট্যসংস্থা 'ইউনিটি মালঞ্চ' ক্লাব সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা শিখা বিশ্বাসের পুত্র দেবাশিস ও তার স্ত্রী প্রমিতা বাড়িতেই ফেঁদে বসেছিলেন মধুচক্র ! দিনের পর দিন সন্ধ্যা নামলেই আনাগোনা বাড়তো বহিরাগত লোকজনের, রাত বাড়লেই জমে উঠত আসর ! অচেনা পুরুষ এবং মহিলাদের ক্রমবর্ধমান গতিবিধি এলাকার লোকজন ভালোভাবে না নিলেও কার্যত সাহস পেতেন না প্রতিবাদের ! কেননা, মালঞ্চর প্রবেশদ্বারের মুখে শাসকদলের বিশাল পার্টি অফিসে বিশেষ আধিপত্য ছিল মধুচক্রে অভিযুক্ত দেবাশিস বিশ্বাসে'র l রোজই দলবলের সঙ্গে দামি বাইক নিয়ে দীর্ঘদিন এলাকা চষে বেড়াতে দেখা যেত তাকে, তাই কেউ তাকে বিশেষ ঘাটাতো না, কিন্তু ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই l শেষ পর্যন্ত তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেই গেল গতকাল রাতে l স্থানীয় বাসিন্দারা মধুচক্রে হানা দিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে l খবর যায় বীজপুর পুলিশে, পুলিশ এসে দেবাশিস তার ভাই সহ ১৪ জনকে আটক করেছে বলে খবর, যাদের মধ্যে ৪জন যুবতীও আছে l ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন,"দিনের পর দিন আমরা এদের বেয়াদপি সহ্য করে যাচ্ছিলাম,এলাকার সুনাম নষ্ট করেছে এই পরিবার ! দেবাশিসের স্ত্রী প্রমিতা বিশ্বাস এই মধুচক্র চালাতো, বহিরাগত যুবক এবং যুবতীদের নিয়ে,দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা l"
স্থানীয় নেতাদের কেউ সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি এ নিয়ে, তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, "বছর খানেক আগে নান্না এলাকাতে এক বাড়িতেও একই কায়দায় মধুচক্র ফেঁদেছিল ওরা, স্থানীয় এক যুবকের সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী'কেও এই ব্যবসায়ে নামাতে চেষ্টা করে, শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সে সংসার ত্যাগ করে বাপের বাড়ি ব্যান্ডেলে ফিরে যায় ! এমনকি অভিযুক্ত এই প্রমিতাকে পঞ্চায়েতে চাকরি পর্যন্ত করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রভাবশালী এক নেতা! যদিও চলতি পঞ্চায়েত বোর্ডের আপত্তিতে সেই প্রমিতা'কে সরিয়ে দেয়া হয়েছে l" আরও জানা গেছে, প্রমিতা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তার শ্বাশুড়ি শিখাদেবীর বিস্তর অভিযোগ ছিল, এমনকি বৌমার অত্যাচারের বিরুদ্ধে পার্টি- পঞ্চায়েত পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ ! তবে জেঠিয়া এলাকার দায়িত্বশীল নেতারা বলেছেন, 'দলের বদনামকারী দোষীদের রেয়াত করা হবে না, আইন আইনের পথে চলবে l'
No comments