ব্রেকিং নিউজ

বোমাবাজি নিয়ে গণেশের অভিযোগকে খণ্ডন ! "গুন্ডার অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিতেই আমার ঘৃণা হচ্ছে" - পার্থ


সোনালী ব্যানার্জী : নৈহাটির বিদায়ী কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা গনেশ দাসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনায় বীজপুর থানার পুলিশের হাতে তিন যুবকের গ্রেপ্তারির ঘটনার পর এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর। ধৃতরা হল হালিশহর ডানলপ ঘাট এলাকার বাসিন্দা চন্দন ঠাকুর (১৯) , বরেন্দ্রগলির বাসিন্দা রানা মজুমদার (২৩)  এবং কাঁচরাপাড়ার বাবুব্লকের বাসিন্দা শেখর বর্মা (৩২) l তিনজন'কেই  তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে চিহ্নিত করছে বিজেপি শিবির l  
এ নিয়ে বিজেপি নেতা গণেশ দাস সমাচার সাতদিন'কে মারাত্মক অভিযোগ তুলে বলেন, "বোমাবাজির মাস্টার মাইন্ড আসলে নৈহাটির বিধায়ক! বার বার আমায় খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে,যে যুবকরা ধরা পড়ছে তাদের লোভ দেখিয়ে সামান্য টাকার বিনিময়ে এসব করানো হচ্ছে, নতুন প্রজন্মকে নষ্ট করে দেয়ার চক্রান্ত! আমার হাত ধরে নৈহাটির বুকে বিজেপির উত্থানকে মেনে নিতে পারছে না বলেই আমায় খুনের চেষ্টা!" 
 উল্লেখ করা যেতে পারে, ৯ ই আগস্ট শনিবার রাতে বীজপুরের বালিভাড়ায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে বাইক নিয়ে ধাওয়া করা দুষ্কৃতীরা হালিসহরের বকুলতলা থেকে বলদেঘাটা অঞ্চলে গণেশবাবুর গাড়ি ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি চালায়। গাড়িতে  চালক, নেতা গণেশ দাস সহ আরও দুই বিজেপি কর্মী ছিলেন। অল্পের জন্য তারা প্রাণে বাঁচলেও বোমার আঘাতে গাড়িটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে  মঙ্গলবার ভোরে কল্যাণী-ব্যারাকপুর হাইওয়ের ধার থেকে বীজপুর পুলিশ ওই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। আজ বেলার দিকে তাদের বারাকপুর আদালতে তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 
তবে গণেশ দাসের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিধায়ক পার্থ ভৌমিক প্রতিবেদককে ঘৃণার সুরে বলেন,"একটা সামান্য গুন্ডার অভিযোগ প্রসঙ্গে আমি আর কিছুই বলতে চাইনা, আমার কুন্ঠা বোধ হচ্ছে ওর নিকৃষ্টমানের অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিতে তাছাড়া নৈহাটী তথা এলাকার মানুষ আমায় চেনেন জানেন, ভালো-মন্দের সঠিক বিচার তারাই করবেন l"

No comments