সস্তার প্রচার নয় : প্রকৃত অর্থেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় বাণী'র সদস্যরা
সাতদিনের সমাচার : কোভিড -১৯ এর কঠিন পরিস্থিতিতে যে সমস্ত ক্লাব বা সংগঠন দুঃস্থ এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে লাগাতার সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেছে কাঁচরাপাড়া উত্তর ঘটক রোডের 'বাণী সংঘে'র সদস্যরা তাদের প্রথমসারির শরিক l স্বাধীনতা দিবসের পুন্য লগ্নে গতকাল এলাকায় কাজ করতে আসা সাফাইকর্মীদের জন্য গ্লাভস, মাস্ক এবং রেইনকোট তুলে দিয়েছেন তারা, সেইসঙ্গে সরকারি বিধি মেনে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতেও এদিন মাস্ক, স্যানিটাইজার, পেন এবং একটি করে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে l
প্রসঙ্গত, বিগত মার্চ মাসে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হবার পর থেকে পরিস্থিতির শিকার হওয়া মানুষদের জন্য সেবার অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বাণী সংঘে'র সদস্যরা l ক্লাব সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী জানান, "প্রথম পর্যায়ে আমরা চাল, ডাল,সবজি সহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ত্রাণ বিলি করেছি প্রায় সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই, গত মে মাসের ৪ তারিখে ৩০০টি পরিস্থিতির শিকার মানুষের জন্য রান্নার তেল,মশলাপাতি সহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি তুলে দেওয়া এছাড়াও কল্যাণী মাঝের চরে ইঁটভাটা এলাকায় আটকে পড়া শ্রমিক ও তাদের শ'খানেক পরিবারের জন্য ত্রান বিলি করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে,
গত ৫ এপ্রিল এলাকাভিত্তিকভাবে সাধারণ এবং সঙ্গতিহীন মানুষের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সাবান বিলি করা হয়েছে, ২১এপ্রিল নিচুবাসা এলাকার দুঃস্থ পরিবারের বাচ্চাদের জন্য হরলিক্স, কেক, বিস্কুট এবং বেবিফুড বিতরণ করতে পেরেছি আমরা, শুধু তাই নয়, কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুরকর্তৃপক্ষের ভরসায় না থেকে ৩০ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত লাগাতার ওয়ার্ড এলাকা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে ক্লাবের উদ্যোগে, যা এখনও অব্যাহত l" অপরদিকে ক্লাবের সক্রিয় সদস্য প্রদীপ্ত ঘোষ জানান, "২৪ মে আম্ফান দুর্গতদের জন্য চাল, ডাল, চিড়ে, মুড়ি সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে রাজ্যের একাধিক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায়, গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে ৩০০টি বৃক্ষচারা তুলে দেওয়া হয়েছে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেই, তবে অভিনব উদ্যোগ হিসেবে এটুকু বলতে পারি, সম্প্রতি সদস্যদের আর্থিক
সহযোগিতায় কয়েকটি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং পালস অক্সিমিটার কেনা হয়েছে, যা সার্বিকভাবে গোটা এলাকার বিভিন্ন পরিবারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, মোট কথা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় মানুষকে সচেতনতা বার্তার পাশাপাশি ক্লাব সদস্যদের আর্থিক সাহায্যে মানবসেবায় আমরা এগিয়ে চলেছি, তবে সস্তার প্রচার নয়, প্রকৃত অর্থে সমাজসেবাই আমাদের মূল মন্ত্র।"
No comments