মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী
সাতদিনের সমাচার : মমতা ব্যানার্জীর মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলেন নন্দীগ্রামের যুবরাজ শুভেন্দু অধিকারী।শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি কালীঘাটে চিঠি পাঠিয়ে জানান শুভেন্দু। সেই চিঠির প্রতিলিপি ই-মেল করে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীশ ধনকর এর কাছে। বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা চলছিল শুভেন্দু অধিকারী কে কেন্দ্র করে । কিন্তু পদত্যাগের পর তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আরও জোরালো হয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত বেশ কিছুদিন ধরে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল শুভেন্দুর। দলের প্রথম সারির কিছু নেতা কাজ কর্ম নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ছিলেন। পুজোর পর দলের পতাকা তথা নেত্রীর ছবি ছাড়াই বিভিন্ন জেলায় সভা করেন শুভেন্দু। সেই সভা মঞ্চ থেকে তিনি নাম না করে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আক্রমণ সানান। প্ৰাক্তন মন্ত্রীর প্রশ্ন বানে বিদ্ধ তৃণমূল সমস্যা সমাধানের জন্য বর্ষীয়ান নেতা তথা দমদম লোকসভার সাংসদ সৌগত রায় কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।তিনি প্রায় দুইবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।কিন্তু সমস্যার কনো সমাধান নয় হওয়ায় আরও আক্রমণত্বক হয়ে ওঠেন শুভেন্দু। কিন্তু পরিবর্তি সময় হগলি জেলার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুরু হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তরজা। এরপরই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন(এইচ.আই.আর.বি.সি)চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। রিক্ত ওই পদে সেদিনই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহাল করা হয় দলের তরফে। তাঁর ঠিক 24ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেন ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। শুধু তাই এদিন তিনি হলদিয়া ডেভলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ সহ সরকারের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। আজ তিনি দিল্লী যাচ্ছেন। তবে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেইদিকে তাকিয়ে আছে বাংলার রাজনৈতিক মহল।
No comments