তৃণমূল আইসিইউ তে চলে গেছে : শুভ্রাংশু রায়
সাতদিনের সমাচার : শুধু সময়ের অপেক্ষা তৃণমূল দলটা আইসিইউ তে চলে গেছে। অক্সিজেন চলছে, শুধু মুখ থেকে মাস্ক টা খুলে দিলে শোনা যাবে সরকারটি পড়ে গেছে।রবিবার সকালে নৈহাটি বিধানসভার পলাশী-মাঝিপাড়া কলতলার মনসাতলায় বিজেপি নৈহাটি গ্রামীণ মন্ডল-3এর উদ্যোগে একটি দলবদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ঠিক এভাবেই শাসকদল বিরুদ্ধে আক্রমণ সানালেন মুকুলতনয় তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভরাংশু রায়। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে আগে এক দল ছিল, নেতৃত্ব এক ছিল, কিন্তু পরিস্থিতি বদলেছে, এই কেন্দ্রের বিধায়কের নাম না করে বলেন, উনি ভালো নাটক করেন।কিন্তু কিছুদিন ধরে দেখছি তিনি একজন মাফিয়া কে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে নৈহাটির মানুষ আপনাকে তিরিশ হাজার ভোটে পরাজিত করবে। সদ্য মন্ত্রিত্ব থাকে পদত্যাগ করা নন্দীগ্রামের যুবরাজ শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপি তে তাঁকে স্বাগত জানাই। তৃণমূল কংগ্রেস তাসের ঘরের মত টুকরো-টুকরো হয়ে ভেঙে যাবে। তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, মাফিয়া, পুলিশ দিয়ে রাজনীতি এক-দুদিন করা যায়। কিন্তু মানুষ যাকে চায় তাঁকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে আর সরিয়েও দেয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি 200টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে।বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সাতটি আসনে বিজেপি জিতবে বলে তিনি আসা প্রকাশ করেন। স্মৃতিচারণা করে বিধায়ক বলেন, মঞ্চে থেকে বাবার অপমান সহ্য করেছি।এবার প্রায়শ্চিত করতে চাই।
এদিন দলবদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র বলেন, যে উন্নয়নের কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রকৃত তিনি নিজের পরিবারের উন্নয়ন করেছেন। তিনি নিজের ভাইদের, ভাইপোর উন্নয়ন করেছেন। সাধারণ মানুষের কনো উন্নয়ণ সংগঠিত হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, আগামীদিনে তৃণমূল তাসের ঘরের মত ভেঙে যাবে। সাধারণ মানুষ বিজেপি কার্যকর্তাদের কাজের পদ্ধতি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ওপর আস্থা রেখে বিজেপি তে যোগদান করছেন।এদিন দলবদল অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দল থেকে প্রায় শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করে বলে তিনি দাবি করেন। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিজেপি রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমাশঙ্কর সিং, জেলার নেতা বিনোদ শর্মা, প্রিয়াংশু পাণ্ডে, মন্ডল সভাপতি সুব্রত সাহা প্রমুখ।
No comments