ব্রেকিং নিউজ

হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটেও পদ্ম ফোটাব : শুভেন্দু

সাতদিনের সমাচার : "মানুষ পরিবর্তনের আরও একটি পরিবর্তন চাইছে,আর তাই দুয়ারে সরকার এসেছে, হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় সমাধান ! ভাওতাবাজির অপর নাম !! অথচ এতদিন উনি কী সময় পাননি ? - তাই আপনারা দেখবেন এবার আগে নিজের ঘরে পদ্ম ফোটাব আর তারপর পদ্ম ফোটাব হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকেও !" --মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  খড়দহে বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক ও উত্তর শহরতলি জেলার উদ্যোগে আয়োজিত যুব মোর্চার একটি জনসভায় এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২৩ তারিখ খড়দহ থানায় যুব মোর্চার কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার মত অত্যাচারি পুলিশ অফিসারদের ক্ষমতায় আসার পর পোস্টিং দিয়েছে তৃণমূল, আর বারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার অজয় ঠাকুরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডি ইতিমধ্যেই তিন'টি নোটিশ দিয়েছে তাই আগে নিজেকে সামলান তারপর বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার করবেন, সুতরাং আমাদের লড়াই জারি থাকবে পিসি-ভাইপো'র লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে।"
মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমন করে এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন,"বিজেপি আগামী নির্বাচনে ২০০ টি আসন পাবে, শেষ হবে  বুয়া-ভাতিজা সরকারের সিন্ডিকেট রাজ্ ll
 বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং নিজের ভাষণে বলেন, "আজকের মিছিল ও সভায় জনসমাগম বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর পুলিশের অত্যাচার কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, এখানকার কিছু পুলিশ অফিসার মনে করছেন তৃণমূল সরকার সারাজীবন থাকবে ! ওরা কি চোখে দেখতে পাচ্ছেন না, রাজ্যে তালিবানি শাসনের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার আসছে, ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্যে পিসি ধৃতরাষ্ট্রের ভুমিকা পালন করেছেন এখন, তাই রাজনৈতিক  লড়াই ছেড়ে ব্যক্তি লড়াই লড়ছেন। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ মনীশ শুক্লার খুন! যারা ওকে মেরেছে মানুষ তাদের ক্ষমা করবেন না। মানুষের সুনামি এসেছে তৃণমূল দেখে নিক । এদিনের সভায় আর এক সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সকলেই চড়া সুরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, "উনি  একজন নিষ্ঠুর মুখ্যমন্ত্রী ! ওনার  এক্সপেয়ারি ডেট পার হয়ে গেছে, শুধু তাই নয় ভাইপোরও এক্সপেয়ারি ডেট এসে গেছে, মানুষ বিজেপির সাথে আছে, কেননা জনগণ দেখছে, রাজ্যে তোলাবাজি- সিন্ডিকেট রাজের জন্য সমস্ত কলকারখানা বন্ধ!  তবে উনি একটা চপের কারখানা তৈরি করেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর শুধু চপের তেলটা পাল্টে দেব।"
 এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন,বিধায়ক সুনীল সিং,পবন সিং,শুভ্রাংশু রায়,শীলভদ্র দত্ত সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়ক এবং  উত্তর শহরতলির জেলা ও বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কিশোর কর, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, দেবজিৎ সরকার,শঙ্কুদেব পান্ডা সহ দুই জেলার মন্ডল সভাপতি এবং  যুব মোর্চার কর্মীরা।  
প্রসঙ্গত, ২৩ ডিসেম্বর খড়দহ থানার সামনে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ও মহিলা মোর্চার কর্মীদের ওপর পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এদিন টিটিগড়ের ব্রহ্মাস্থান থেকে বিটি রোড ধরে একটি প্রতিবাদ মিছিল আয়োজিত হয়, মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী,অর্জুন সিং,বাবুল সুপ্রিয়,সৌমিত্র খাঁ সহ বিজেপির অন্যন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মিছিলটি প্রায় চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে খড়দহ থানার কাছে লিচুবাগান মোড়ে এসে শেষ হয়।

No comments