দু পয়সার প্রেস ! তাচ্ছিল্য সুরে নিশানা সংবাদমাধ্যমকে
সাতদিনের সমাচার : বিশেষজ্ঞরা বলছেন- "একেই বলে বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি!"
একজন সাংসদ হিসেবে নিজের সেরা'টা উপহার দিয়ে "বাহবা" কুড়োলেন মহুয়া মৈত্র l আর কয়েক মাস বাদেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন l নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসকদলের অন্দরে চলছে ব্যাপক ডামাডোল।শাসকদলের বেশকিছু মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেতারা বেসুরো গাইছেন ! গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাংসদের করা দুর্ব্যবহার বিরোধীদের হাতে তুলে দিল আরও একটা প্রচার অস্ত্র! ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝাড় উঠে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে l রবিবার নদীয়া জেলার কল্যাণী বিধানসভার গয়েশপুর সুকান্ত সদনে তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল l সেই সভায় খবর সংগ্রহ করতে আসা সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে "দু'পয়সার প্রেস" বলে তাচ্ছিল্য ভরা মন্তব্য করেন নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র! তার কিছু আগেই সাংসদকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা l বহিরাগত সভাপতি মানছি না বলে স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারী দলের কর্মীরা l বিক্ষোভ'কে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভাস্থল!জনসমক্ষে প্রকট হয় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!এমনকি উত্তেজিত কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন!কর্মীদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে মেজাজ হারান নেত্রী l তিনি সভামঞ্চে উঠে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবাইকে ডাকা হয়নি এই সভায় l বাইরে যারা আছেন সভাকক্ষের ব্যালকনিতে বসুন!এরপর তিনি খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের "গেট আউট" বলে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন!এরপরেই উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, দুই পয়সার সংবাদ মাধ্যম'কে ডাকতে কে বলেছে l পেপার,টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য যত সব l সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যে নেত্রীর করা মন্তব্য'কে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে l নিন্দায় সরব হন সংবাদ কর্মীরা l নেত্রী কথা শুনে উৎসাহিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের দিকে তেড়ে আসে একদল তৃণমূলকর্মী l সভা শেষে প্রেসকে নিয়ে করা মন্ত্যবের প্রশ্নে জবাবে নেত্রী মহুয়াদেবী বলেন,আমি তো আপনাদের রেকর্ড করতে বলেনি! সেটা আপনারা করেছেন l শেষে "ছেড়ে দাও ছেড়ে দাও" বলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন l যদিও নেত্রীর এ হেন কাণ্ডে আখেরে দলের মুখ পুড়েছে বলে মানছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব !
No comments