অবৈধ পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর প্রশাসক : প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাগরিক সমাজ
সাতদিনের সমাচার : কঠোর পরিশ্রম ও মানুষের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ২৪ x ৭ নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত রাখা এবং অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা -- সবেতেই নিজের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই পুর-নাগরিকদের মন জয় করেছেন হালিশহর পৌরসভার প্রশাসক রাজু সাহানী, পুকুর চুরি রুখে এবার তাঁকে দেখা অন্য ভূমিকায় দেখতে পেল হালিশহরের আমজনতা !
রাতের অন্ধকারে আইন'কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলা জলাশয় ভরাটের কাজ বন্ধ করে সম্প্রতি কিছু অসাধু মানুষদের চক্ষুশূল হয়েছেন দক্ষ এই প্রশাসক।
জানা গেছে , কিছুদিন আগে পুরসভার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বহুতল তৈরির নামে পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল চুপিসাড়ে, যা নজরে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা শুভঙ্কর ঘোষ ও প্রশাসক রাজু সাহানী তৎক্ষণাৎ পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে পুকুরে ফেলা মাটি পুনরায় তুলে নিতে নির্দেশ জারি করেন ।
ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে পুরসভা স্বতস্ফূর্ত ভাবে জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে চলতি মাসের ১৫ তারিখে আবারও এক অসাধু ব্যক্তির বিরূদ্ধে বীজপুর থানায় অভিযোগ জানায়। জানা গেছে, বিবেকানন্দপল্লী ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিতাই মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১৫ কাটার একটি পুকুর ভরাট করছিল । অভিযোগ, পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ার এই বেআইনি কাজে ওই ব্যক্তিকে মদত জোগাচ্ছিলেন, এবং অনুমতি ছাড়াই জলাশয় ভরাট হচ্ছিল বহাল তবিয়তে ! থানায় অভিযোগ জানিয়ে পুলিশকে অতিসত্বর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন পুরপ্রশাসক । পুলিশ ইতিমধ্যেই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করেছে বলে খবর । ফিশারী অ্যাক্ট অনুযায়ী কোনও জলাশয় (৫ কাটা বা তার বেশি ) ভরাট করতে গেলে পুরসভার অনুমতি প্রয়োজন, যা এক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি । আরও জানা যায় , নিতাই মজুমদার যে প্লট'টিতে বসবাস করছে সেই জায়গাটিও অতীতে পুকুর ছিল প্রায় ১০ কাটার বেশী জায়গা জুড়ে । কোনও অদৃশ্য শক্তির মদতে নিতাইবাবু প্রত্যেকটি প্লট বিক্রি করে দিয়েছেন অনেক আগেই, ৪ টি পরিবার সেই ভরাট করা পুকুরের ওপর রীতিমতো বসবাস করছে !
এ নিয়ে অভিযুক্ত নিতাইবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি l স্থানীয় মানুষজন প্রশাসক রাজু সাহানীর এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, তবে বীজপুর পুলিশ কি পদক্ষেপ নেয়, এখন সেটাই দেখার !
No comments