মমতার আরোগ্য কামনায় হালিশহরের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা : ধিক্কার মিছিল রাজপথে
সাতদিনের সমাচার : নন্দীগ্রামে গতকাল আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সেই অভিযোগ তুলেছেন। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে উত্তাল হয়েছে বাংলার রাজ্য রাজনীতি। দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ এর খেলায় সরগরম ভোটের বাজার । একই সাথে সারা রাজ্য জুড়ে মমতা ব্যানার্জীর উপর এই আঘাত এর প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ , মিছিল যেমন করেছেন, একই ভাবে তার সুস্থতা কামনায় চলছে পুজোআর্চাও।
হালিসহর ৭ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কর্মীরা আজ হালিসহর রামপ্রসাদ ভিটায় পুজো দিলেন। ছিলেন যুব নেতা দীপায়ন চক্রবর্ত্তী, কুন্দন চক্রবর্ত্তী, সৌম্য, শঙ্কর পাল, অমিত ঘোষ, ছাত্র নেতা স্নেহাসিস মুখার্জী, প্রকৃত, কুট্টু সহ ছাত্র'স্তরের বিভিন্ন সদস্যরা। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কো-অর্ডিনেটর সায়ন্তন চক্রবর্ত্তী। এদিকে আঘাতের জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে যেমন তৈরী হয়েছে চরম ধন্দ্ব ! অন্যদিকে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও l এদিকে তৃণমূল সাংসদ ডা: শান্তনু সেন বলেন,"পরীক্ষার পর দেখা গেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পায়ের পাতায় চিড় এবং লিগামেন্ট, টিস্যুতেও চোট রয়েছে, ফলে বাঁ পায়ের গোড়ালি ফুলে আছে, চোট লাগা অংশে আছে তীব্র প্রদাহ।"
চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের আঘাতে সাধারণত দেড়-দু’মাস বিশ্রামে থাকার প্রয়োজন। আবার হাসপাতাল অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বাঁ পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতায় সিভিয়র ইনজুরি তো আছেই, ডানদিকের কাঁধে ও কব্জিতে চোট রয়েছে, এমনকি ঘটনার পর থেকে তিনি ট্রমার মধ্যে আছেন, বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন মাননীয়া ! আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি l"
নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পর গ্রিন করিডোর তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে এমআরআই-সহ নানা পরীক্ষার জন্য সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় 'বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস'-এ। রাত ১টা নাগাদ অনান্য পরীক্ষার পর আবার ফিরিয়ে আনা হয় এসএসকেএম এ। ইতিমধ্যেই ব্যথা উপশমের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে তাকে।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে নন্দীগ্রামের রেওয়াপাড়ায় শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে হলদিয়া পৌঁছন মমতা। সেখানে মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে কলকাতা ফেরার কথা থাকলেও পরে নন্দীগ্রাম যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ৭টি মন্দিরে পুজো দেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রচারের সময় আচমকাই তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘নন্দীগ্রামে বিরুলিয়ার মন্দির থেকে বেরোনোর সময় চক্রান্ত করে ইচ্ছাকৃতভাবে কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দেয়,পরিকল্পিত ভাবেই আমার ওপর এই হামলা।’ এমনকী, স্থানীয় পুলিশও সেই সময় ছিল না বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। পুলিশ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে l
No comments