ব্রেকিং নিউজ

আক্রান্ত সংবাদকর্মী ও তার পরিবার : রেহাই পায়নি অন্তঃস্বত্তাও

সাতদিনের সমাচার : হিংসা আর পাশবিক প্রবৃত্তি কোন পর্যায়ে পৌঁছলে একজন নিরীহ  অন্তঃসত্ত্বার উপর পাশবিক নির্যাতন চালাতেও বিবেকবুদ্ধি বিসর্জন  দেওয়া মানুষরূপী হিংস্র প্রাণীদের হৃদয় কাঁপে না !! 
গতকাল এমন এক চরমতম হিংসার নজির সৃষ্টি হল খোদ হালিশহরের বুকে l যার সাক্ষী থাকল রামপ্রসাদ খেলার মাঠ সংলগ্ন বিবেকানন্দপল্লী এলাকার সাধারণ মানুষজন l লোহার রড, বাঁশ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চললো নিরীহ  'দে' পরিবারের উপর l 
পরিবারের একমাত্র ছেলে সংবাদকর্মী সুমন দে' নিজের গাড়ি ভাড়ায় চালান, নিজেই ড্রাইভ করেন l স্থানীয় সাপ্তাহিক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল "সমাচার সাতদিন" এ সংবাদকর্মী হিসেবেও আংশিক সময়ে সুমনবাবু নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন l দমদমে এক  আত্মীয়র বাড়িতে থেকে তিনি গাড়ি চালান এবং হপ্তান্তে হালিশহরের বাড়ি আসেন, বৃদ্ধ বাবা-মা ছাড়াও বাড়িতে অন্তঃস্বত্তা দিদি রয়েছেন l সম্প্রতি সুমনবাবুর বাড়ির কাছের এক নিকটাত্মীয় কোভিড পজিটিভ হয়ে মারা যান l দিন দুয়েক আগেই তাঁর পারলৌকিক কাজকর্ম সারতে সুমন হালিশহরেই ছিলেন, গতকাল রাত সাড়ে দশ'টা হঠাৎ একদল মত্ত যুবক ধারালো অস্ত্র, লোহার রড এবং বাঁশ নিয়ে সুমনবাবুর বাড়িতে হামলা চালায়, ছেলেকে বাঁচাতে সুমনবাবুর বাবা ছুটে আসলে তাকেও বেধড়ক মারে দুষ্কৃতীরা l মারের চোটে বামহাত ভেঙে যায় তার, এমনকি দুষ্কৃতীরা  তার বৃদ্ধা মায়ের কোমরেও বাঁশ দিয়ে মারে, রেয়াত করেনি অন্তঃস্বত্তা দিদিকেও ! 
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় l ঘটনার খবর পেয়ে আসে বীজপুর থানার পুলিশ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমল মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্যরা l তাদের উদ্যোগেই গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনবাবুর বাবা, মা এবং দিদিকে কল্যাণী জেএন এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় l যুব তৃণমূল নেতা কমল অধিকারী বলেন, "দুষ্কৃতীদের কোনও রং হয় না, কোনও দল হয় না, আমাদের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী সাফ জানিয়েছেন যারা আইনকে সম্মান করে না, যারা সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে, তারা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না !" 
ঘটনার রেশ চলে ভোর চারটে পর্যন্ত l দে পরিবারের 'এফ আই আর'-এর উপর ভিত্তি করে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে, এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বেঙ্গল প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক রাজীব গুপ্ত, সংগঠন সভাপতি তথা 'দৈনিক নির্ভীক কণ্ঠে'র কর্ণধার স্বপন দাস এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক অনন্ত চট্টোপাধ্যায়  ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, "সর্বস্তরের সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের সংগঠন সুমনের পাশে আছে, দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে !" স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমল মুখোপাধ্যায়ও  আক্রান্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন l তবে কেন এই হামলা তার কারণ এখনও খুঁজে চলেছেন আক্রান্ত সুমন দে l শেষ পাওয়া খবর পুলিশ এখনও দুষ্কৃতীদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি l

No comments