ডিজিট্যাল মিডিয়া এথিক্স রুলস ২০২১ : ভার্চুয়াল কর্মশালা সফলভাবে অনুষ্ঠিত
সাতদিনের সমাচার : কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক কর্তৃক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল ১৪জুলাই বিকেলে । আলোচনার বিষয় বস্তু ছিল "ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স রুলস" ২০২১, সভায় পৌরিহিত্য করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক দপ্তরের যুগ্ম সচিব বিক্রম সহায়। উক্ত আলোচনা সভায় হাজির ছিলেন উত্তর পূর্ব রাজ্য প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর পক্ষ থেকে উত্তর পূর্ব অঞ্চলের এ.ডি.জি. এস. এন. প্রধান, কলকাতা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর এ.ডি.জি. জেন নামচু, ডেপুটি ডিরেক্টর চিত্রা গুপ্তা, সৃজাতা সাহু প্রমুখ l পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৩০০ জন সংবাদকর্মীকেও হাজির থাকতে দেখা গেছে সভার শুরুতে । এদিন বিক্রম সহায় বলেন, "অভিযোগ নিরসন ব্যবস্থাটি ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড -২০১২ এর মূল এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য এটি একটি নাগরিক কেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ হিসাবে প্রণীত হয়েছে।' সভায় ডিজিটাল সংবাদ প্রকাশক এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কিত নিয়মের মূল বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বিক্রম সহায় আরও বলেন, "ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড - ২০২১ এর ফ্রেমিংটি খুব প্রয়োজনীয় ছিল, কেননা বিপুল সংখ্যক অভিযোগ নানা সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই এসেছে এমনকি বিভিন্ন সময় উচ্চ আদালত ও সর্বোচ্চ আদালতে যা বিচারাধীন, এবিষয় মিডিয়ারই বা কি মত তা জানতে এই আলোচনা ভীষণ প্রয়োজন,এই আলোচনার মাধ্যমে আগামী দিনে একটি শক্তিশালী পরিকাঠামো গড়ে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য' l" শ্রী সহায় এর কথায়,"ডিজিট্যাল মিডিয়া মাধ্যমও প্রচলিত মিডিয়া মূলত দু'টি আইনকে সামনে রেখে এগোতে হবে, যা হল, প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৮ এবং অপরটি হল 'কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৯৫।"
ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো -গুয়াহাটি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র নিবন্ধভুক্ত ডিজিট্যাল মাধ্যমের সাংবাদিক সংগঠন "ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন" এর পক্ষে সংগঠন সভাপতি অরিন্দম রায়চৌধুরী । এই দিনের আলোচনা সভায় প্রশ্নোত্তর সংগঠনের পক্ষ থেকে রাখা অনুরোধে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক দপ্তরের যুগ্ম সচিব আশ্বাস দেন, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সাপ্তাহিক আলোচনা সভায় পিআইবি-র পূর্বাঞ্চলের তরফ থেকে নির্দিষ্ট কর্মকর্তা সরকারীভাবে হাজির থাকবেন এবং সংগঠনের সকল সাংবাদিক সদস্যকে সঠিক কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে বিশদে বোঝাবেন। আগামীতে এই পদক্ষেপের জেরে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা যথেষ্ট উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে । এদিন সভা সঞ্চলনার দায়িত্বে ছিলেন গুয়াহাটি থেকে প্রদর্শনী কর্মকর্তা হীরামনি দাস এবং মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা গোপজিৎ দাস ।
No comments